চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালী জনতা কোল্ড স্টোরেজের আগুন নিভেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট বুধবার (১৯ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে দোতলা ভবনটির নিচতলায় শুঁটকির কোল্ড স্টোরেজে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। পরে ভবনটির নিচ তলা সম্পূর্ণ ধ্বসে যায়।ফায়ার সার্ভিসের লামার বাজার, নন্দনকানন ও আগ্রাবাদ স্টেশনের ৭টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে।
এ ঘটনায় আহত মো. তারেক (২৮), নুর হোসেন, মো. মান্নান (৩৪) ও রবিন (২২)-কে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ নুর উল্লাহ আশেক বাংলানিউজকে বলেন, আহত চারজনের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চারজনই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তাদের মাথা ও শরীরে আঘাত রয়েছে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, জনতা কোল্ড স্টোরেজে অগ্নিকাণ্ডের সময় পাইপলাইন ফেটে অ্যামোনিয়া গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে আশপাশের লোকজনের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ভবনটির ওপরের তলার বাসিন্দা এবং আশপাশের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কোল্ড স্টোরেজটিতে আগুনে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের লামাবাজার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, কোল্ড স্টোরেজে অ্যামোনিয়া গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এ গ্যাসের সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ থেকে কোল্ড স্টোরেজটিতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘনবসতিপূর্ণ রাজাখালী এলাকায় বিভিন্ন পণ্যের গুদাম, আড়ত ও পাইকারি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে।