বুধবার - ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৯শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

নিজেকে পরিশুদ্ধ করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হ’ল ইতিকাফ

২০ দিনব্যাপী দারসুল কুরআন ও ইফতার মাহফিল ৯ম রমজানের আলোচনায় বক্তারা
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হ’ল ইতিকাফ

 

শাহ্ মজিদিয়া ইসলামী কমপ্লেক্স ট্রাস্ট বাংলাদেশ এর ব্যাবস্থপনায় চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ কমপ্লেক্সে ২০ দিনব্যাপী দারসুল কুরআন ও ইফতার মাহফিল ১০ মার্চ সোমবার ৯ম রমজানের ইতাকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত বিষয়ে আলোচনা করেন রাঙ্গামাটি কাউখালি আল-নুর জামে মসজিদের খতিব হযরত হাফেজ মাওলানা আবুল হায়াত মিয়াজী। তিনি বলেন ই‘তিকাফের উদ্দেশ্য হ’ল আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি অর্জন করা। নিজের গোনাহ মাফ করে নেওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হ’ল ই‘তিকাফ। তাবেঈ মাসরূক (রহঃ) বলেন, ব্যক্তির জন্য করণীয় হ’ল সে এমন কোন স্থানে একাকী হবে, যেখানে সে নিজের গোনাহ স্মরণ করে তা হ’তে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। এক্ষেত্রে ই‘তিকাফ এক উত্তম মাধ্যম। আর এর মাধ্যমে ‘লাইলাতুল ক্বদরকে’ অন্বেষণ করা যায়। মাওলানা মিয়াজি আর বলেন আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স.) কদরের রাত অন্বেষণের উদ্দেশ্য তাঁর কাছে স্পষ্ট হবার পূর্বে রামাযানের মধ্যেই দশ দিন ই‘তিকাফ করলেন। দশ দিন অতিবাহিত হবার পর তিনি তাঁবু তুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। অতএব তা গুটিয়ে ফেলা হ’ল। অতঃপর তিনি জানতে পারেন যে, তা শেষ দশ দিনের মধ্যে আছে। তাই তিনি পুনরায় তাঁবু খাটানোর নির্দেশ দিলেন। তাবু খাটানো হ’ল। এরপর তিনি লোকদের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, হে লোক সকল! আমাকে ক্বদরের রাত সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল এবং আমি তোমাদের তা জানানোর জন্য বের হয়েছিলাম। কিন্তু দু’ব্যক্তি পরস্পর ঝগড়া করতে করতে উপস্থিত হ’ল এবং তাদের সাথে ছিল শয়তান। তাই আমি তা ভুলে গেছি। অতএব তোমরা তা রামাযান মাসের শেষ দশ দিনে অন্বেষণ কর। শাহ্ মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবদুল মোমেনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা মাওলানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মজিদী, সাংবাদিক সোহেল তাজ, মাওলানা নুরুল করিম, মাওলানা সোহাইল প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn