মঙ্গলবার - ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

নিখোঁজের ২২ দিনপর শালবন থেকে যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার

২২ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার যুবক মিন্টু রায়ের (২৪) কঙ্কাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় যুবকের পরনের প্যান্ট, কোমরের বেল্ড ও পায়ের জুতা উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুর দেড় টার নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় নাবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের শালবনের ভিতরে গভীর জঙ্গল থেকে কঙ্কালসহ এ সব উদ্ধার করে পার্বতিপুর থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ (পিপি এম সেবা)। নিখোঁজ যুবক ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর গোয়ালপাড়া গ্রামের রনজিত রায়ের একমাত্র ছেলে। উদ্ধারের সময় মিন্টু রায়ের চাচা উত্তম কুমার উদ্ধার হওয়া প্যান্ট, বেল্ড ও জুতা দেখে তার পরিচয় সনাক্ত করেন। মিন্টু রায়ের চাচা উত্তম কুমার রায় জানান, মিন্টু রায় ফুলবাড়ী উপজেলার তেতুলিয়া বিএম কলেজে লেখাপড়া করত। কিন্তু সে দেড় বছর ধরে তার বাবা-মার সাথে ঢাকায় বসবাস করছেন। নিখোঁজের কয়েক দিন আগে সে বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। গত ৮ মে সে পাবর্তীপুর উপজেলা চন্ডিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শালন্দার গ্রামে তার নানার বাড়ীতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে গত ৯ মে ফুলবাড়ী তার নিজ বাড়ীর উদ্যেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে বের হলে এরপর তিনি নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় ১৩ মে তার বাবা রনজিত রায় পার্বতীপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করেন। পুলিশ জানায়, পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ জিডি হয়। জিডি মূলে তদন্ত শুরু করে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখোঁজ যুবকের মোবাইলের সূত্র ধরে নবাবগঞ্জ শালবনে অনুসন্ধান করে পরনের প্যান্ট, বেল্ড ও মিন্টু রায়ের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় মিন্টু রায়ের চাচা উত্তম কুমার উদ্ধার হওয়া প্যান্ট, বেল্ড ও জুতা দেখে পরিচয় সনাক্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তী তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে। নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, পাবর্তীপুর মডেল থানায় দায়েরকৃত জিডি মূলে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় শালবনের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ সময় যৌথ অভিযান চালিয়ে গভীর শালবনের ভিতর থেকে ওই য্বুকের মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান কঙ্কাল উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কঙ্কালটির ডিএনএ টেষ্ট না করা পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। বিষয়টির তদন্ত চলছে এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবোনা। মুঠো ফোনে কথা বললে দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিডি মূলে তদন্ত করে প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইলের সূত্র ধরে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন প্রাথমিকভাবে জুতা ও কাপড় দেখে পরিচয় সনাক্ত করেছে। কঙ্কালটি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn