
নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
প্রতি বছর ৮ মার্চ পালিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনটি কেবল নারীদের অর্জন উদযাপনের উপলক্ষ নয়, বরং লিঙ্গ সমতার দিকে অর্জিত অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের কাজের প্রতিফলন ঘটানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। বিশ্বজুড়ে নারীরা সমাজে অমূল্য অবদান রেখেছেন। ক্লারা জেটকিন আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিষ্ঠাতা। এই দিনটি এমন নারীদের সাহস এবং স্থিতিস্থাপকতাকে সম্মান জানানোর একটি দিন যারা বাধা ভেঙে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পথ তৈরি করেছেন। বিংশ শতাব্দীতে সমান অধিকারের জন্য লড়াই করা নারী থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের নারীরা যারা নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে চলেছেন, এই দিনটি বিশ্বজুড়ে নারীদের শক্তি এবং দৃঢ়তার প্রতীক।
নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় শ্যামলী হালদার উপস্থিত হয়ে বলেন ২০২৫ সালে “আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী” দিবসে দাঁড়িয়ে , মনে হচ্ছে ।১৯৭৫-১৯৮৫ সালের দশককে জাতসংঘের নারী দশক হিসেবে ঘোণা করা হলে নারী বিষয়ক বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করতে শুরু করে।প্রতি বছর মার্চমাসের ৮ তারিখে পালিত হয়। সারা বিশ্বব্যাপী একটি প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবস উদ্যাপন হয়ে থাকে। বিশ্বের এক একপ্রান্তে নারীদিবস উদ্যাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদ্যাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।1977 সালে জাতিসংঘ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত, বিংশ শতাব্দীর শুরুতে উত্তর আমেরিকা এবং সমগ্র ইউরোপে শ্রম আন্দোলনের কার্যক্রম থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রথম উদ্ভূত হয়।১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো।১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল।এই দিবসটি উদ্যাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস।
নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় শ্যামলী হালদার উপস্থিত হয়ে বলেন ২০২৫ সালে “আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী” দিবসে দাঁড়িয়ে , মনে হচ্ছে আমাদের ঘর, আমাদের রাস্তা, আমাদের রাজ্য, আমাদের দেশে আমাদের নয়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গিয়েও আমরা চাইছি আমাদের নিরাপত্তা, আমাদের সম্মান, আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার। কবে সেই আলোকবর্ষের খোঁজ পাব ? কবে নারীরা সুন্দর সকাল খুঁজে পাবে?? না পাওয়ার যন্ত্রণায় ১৯৭৫ সাল থেকে।