শনিবার - ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

নিউইর্য়ক পাবলিক অ্যাডভোকেট পদের নির্বাচনী দৌড়ে জেনিফার রাজকুমার

নিউইর্য়ক পাবলিক অ্যাডভোকেট পদের নির্বাচনী দৌড়ে জেনিফার রাজকুমার

 

নিউইয়র্ক এর কুইন্সের অ্যাসেম্বলি মেম্বার এবং মানবাধিকার অ্যাটর্নি জেনিফার রাজকুমার (ডি-৩৮) আনুষ্ঠানিকভাবে নিউইয়র্ক সিটি পাবলিক অ্যাডভোকেট পদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। শহরের পাঁচটি বোরোর হাজারো বাসিন্দার সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি বুঝতে পেরেছেন, সাধারণ মানুষ তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের চরমপন্থী আচরণ এবং নিত্যদিনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অবহেলার ব্যাপারে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এ কারণে, অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেনিফার রাজকুমার তার উল্লেখযোগ্য সাফল্যের রেকর্ড এবং প্রতিবেশীদের জন্য বহু বছর ধরে লড়াই করার অভিজ্ঞতা নিয়ে পাবলিক অ্যাডভোকেটের পদে কাজ করার জন্য প্রস্তুত।
অবৈধ ধূমপান দোকান বন্ধ করা থেকে শুরু করে ঘৃণা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করা- এসব ক্ষেত্রে তার ভূমিকা তাকে একজন যোগ্য পাবলিক অ্যাডভোকেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
জেনিফার রাজকুমার বলেন, আমি আমার প্রিয় শহরের পাবলিক অ্যাডভোকেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য এগিয়ে আসছি। আমাদের শহর বর্তমানে শাসন সংকটে ভুগছে এবং জুমানে উইলিয়ামসের মতো চরমপন্থীদের অপ্রাসঙ্গিক এজেন্ডার জন্য আর সময় নেই। আমাদের এখন এমন নেতার প্রয়োজন, যারা প্রকৃত সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করবেন। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবিলা থেকে শুরু করে রাস্তা ও সাবওয়েতে জননিরাপত্তা পুনঃস্থাপন- আমি আমাদের শহরে সাহসী, ফলাফল-ভিত্তিক নেতৃত্ব আনতে প্রস্তুত।
ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারির মাত্র ১৫০দিন বাকি থাকতেই রাজকুমার শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করেছেন। বর্তমান পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমানে উইলিয়ামসের তুলনায় তার হাতে চারগুণ বেশি তহবিল রয়েছে এবং তিনি এক মিলিয়নরেও বেশি পাবলিক ম্যাচিং ফান্ড পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
স্ট্যানফোর্ড ল’ গ্র্যাজুয়েট এবং মানবাধিকার অ্যাটর্নি জেনিফার রাজকুমার ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য আইন প্রণয়ন করেছেন। তিনি ঝগঙকঊঙটঞ আইন পাস করেছেন, যা রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার অবৈধ ধূমপান দোকান বন্ধ করেছে। এছাড়াও তিনি গৃহকর্মীদের মানবাধিকার সুরক্ষায় একটি জাতীয় স্বীকৃত আইন পাস করেছেন।
সম্প্রতি, নিউইয়র্কের মানসিক স্বাস্থ্য সংকট সমাধানের জন্য তার ২০ পৃষ্ঠার একটি সমন্বিত বিল ‘দ্য এম্পায়ার স্টেট অফ মাইন্ড অ্যাক্ট’ প্রস্তাব করেছেন।
ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে পাবলিক অ্যাডভোকেটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জেনিফার রাজকুমার নজিরবিহীন সম্পদ, সাফল্য এবং দূরদর্শিতা নিয়ে এসেছেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn