রবিবার - ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

নান্দাইলের চরবেতাগৈর ইউনিয়নে ফসলী জমি রক্ষার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী

নান্দাইলের চরবেতাগৈর ইউনিয়নে ফসলী জমি রক্ষার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী

 

 

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ১৩নং চরবেতাগৈর ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পের সাথে ফসলী জমি রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন চরভেলামারি গ্রামের নীরিহ কৃষক, বীরমুক্তিযোদ্ধা সহ এলাকাবাসী। এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা তফাজ্জল হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা সামসুল হক, সুবেদার (অব:) আবদুল মতিন ও মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, চরভেলামারি আশ্রয়ন প্রকল্পের সাথে উপজেলা প্রশাসন থেকে ডিসি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ডিসি পার্কের জন্য মূল ব্রীজের উত্তর ও দক্ষিণ অংশে ব্যাপক জায়গা নেয়া হয়েছে এবং এতে মাঠি ভরাটের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। আমরা ডিসি পার্ক নির্মানকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্বাগতম জানাই। কিন্তু গত কয়েক দিন পূর্বে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে আশ্রয়ন প্রকল্পের শেষ সীমানা থেকে দক্ষিণ অংশে প্রায় ২ কিলোমিটার ফসলী জমির উপর লাল নিশাণ টাংগানো হয়েছে এবং এখানে মাঠি ভরাট করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। উল্লেখিত ২কিলোমিটার এলাকায় মাঠি ভরাট করা হলে ফসলী জমি নষ্ঠ হয়ে যাবে এবং এলাকার কৃষকদের না খেয়ে মরতে হবে। উল্লেখিত জমিতে বর্ষায় পানি উঠে পলি মাঠি জমে থাকে। উক্ত জমিতে সরিষা, মাস কালাই, বাদাম, তিল এবং কিছু জমিতে সেচের মাধ্যমে বোর ধান আবাদ করা হয়। উক্ত জমিতে মাঠি ভরাট করা হলে এলাকার কৃষক সমাজ ফসল উৎপাদন থেকে সম্পূর্নরূপে বঞ্চিত হবে। জানাগেছে, ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে উক্ত ব্রহ্মপুত্র নদ খননের একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। অথচ ব্রহ্মপুত্র নদ এখানে খুবই গভীর। ৫০/৬০ ফুট পানি এখনও রয়েছে। এলাকার সর্ব সাধারণ জনস্বার্থে উক্ত স্থানে মাঠি / বালু ভরাট না করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবর জোরদাবী জানিয়েছেন। শনিবার সরজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, বর্ণিত জমিতে ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়েছে। এই ফসল উৎপাদন করে চরভেলামারি এলাকার শত শত কৃষক জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। যুগ যুগ ধরে স্থানীয় কৃষকেরা এই জমি চাষাবাদ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এক ইঞ্চি ভূমিও খালি রাখা যাবে না। ফসল উৎপাদন করতে হবে। নান্দাইলের চরভেলামারি গ্রাম এলাকায় উক্ত ফসলী জমি যাতে কোন অবস্থাতেই নষ্ঠ করা না হয় এর জন্য স্থানীয় কৃষক পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ ময়মনসিংহ জেলা ও নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। প্রয়োজনে কৃষকেরা উক্ত জমি সরকারকে রাজস্ব দিয়ে বন্দোবস্তু নিতেও রাজী আছেন বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। বিষয়টি মানবিক দৃষ্টি কোন থেকে দেখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন এই এলাকার কৃষক সমাজ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn