জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ছয় নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু, তার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম ফয়সাল রিফাত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমডি রাকিব বিল্লাহ, উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি শহিদুল হক লিপন, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মিলন চৌধুরী ।
শুক্রবার রাতে বাবুকে ও শনিবার বিকেলে এমডি রাকিব বিল্লাহকে দল থেকে বহিষ্কার করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুল স্বাক্ষরিত পত্রে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
একই দিনে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম ফয়সাল রিফাতকেও বহিষ্কার করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক সাফিউল করিম রাব্বী স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে বহিষ্কার করা হয়। পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মিলন চৌধুরীকে বহিষ্কার করেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আনোয়ার হোসেন নয়ন ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক বাপ্পী। উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি শহিদুল হক লিপনকে বহিষ্কার করেন জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকু ও যুগ্ম আহ্বায়ক আরমান হোসেন সাগর এবং সাধুরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমকে উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমীর ফয়সাল স্বাক্ষরিত পত্রে বহিষ্কার করা হয়।
বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুর নানা অপকর্ম নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন বাংলানিউজ ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক নাদিম। সংবাদ প্রকাশের জেরে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে নাদিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন চেয়ারম্যান বাবু। আদালত ওই মামলা খারিজ করে দেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গত ১৪ জুন রাতে নাদিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। চেয়ারম্যান বাবু ও তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত হামলার নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সাংবাদিক নাদিমের।