
নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা
সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা, আহত নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ এই হামলা চালায়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার প্রায় চার ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ শেষে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। কিন্তু তাদের দাবি না মানায় আজ তারা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বলপ্রয়োগ করে।
শিক্ষার্থীদের দাবি ও আন্দোলনের পটভূমি শিক্ষার্থীরা জানান, নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা ও প্রতিষ্ঠানটিকে বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতায় নেওয়ার দাবিতে তারা গত সাত মাস ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ করেও তারা দাবি আদায় করতে পারেননি।
কিন্তু তাদের এই ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে গত সোমবার এক সপ্তাহের মধ্যে কলেজের শিক্ষার্থীদের টাঙ্গাইলের কালিহাতির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সংযুক্ত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। তবে জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে অবরোধ প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন এবং সেখানে দিন-রাত অবস্থানের ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবিসমূহ: ১. নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতায় নেওয়া। ২. অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন সেশনে ভর্তি কার্যক্রম চালু রাখা। ৩. নিজস্ব ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা। ৪. শিক্ষক নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় দাবিসমূহ বাস্তবায়ন। শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলতে থাকবে।
পুলিশি হামলার নিন্দা আজকের পুলিশি হামলাকে “নব্য ফ্যাসিবাদ” বলে আখ্যা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, “জুলাই আন্দোলনে আমাদের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ছিল। তখনও পুলিশের হামলা সহ্য করেছি। কিন্তু স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে আমাদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে আমাদের ওপর হামলা চালানো হলো। আমরা প্রশাসনের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।