বুধবার - ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৩শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

নদীতে বাগদা রেনু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করা নারীরা

নদীতে বাগদা রেনু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করা নারীরা

উপকূলীয় মাদার নদী, খোলপেটুয়া নদী, কপোতাক্ষ নদী, মালঞ্চ নদী, চুনা নদী ও নাম না জানা অধিকাংশ নদীগুলোতে গরীব অসহায় নারীরা নেটজাল দিয়ে বাগদা রেনু আহরণ করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ নারীরা বাঘ বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, স্বামী ফেলে যাওয়া ও অসহায় নারী।

খোলপেটুয়া নদীতে বাগদা রেনু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করা গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের শুকজানবানু জানান, তার ২টা কন্যা সন্তান হওয়ার পর তার স্বামী তাকে রেখে অন্য একটা বিয়ে করে কোথায় চলে গেছে তার আজও কোন খোঁজ মেলেনি। আজ ৭ বছর নদীতে নেট জাল টেনে বাগদার রেণু ধরে তা বিক্রি করে কোন রকমে বেঁচে আছি। মেয়ে ২টা নিয়ে বাবার ভিটায় ঠাই পেয়েছি।

চুনা নদীতে নেটজাল টেনে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করা বাঘ বিধবা আমেনা খাতুন জানান, বিগত ১০ বছর পূর্বে তার স্বামী সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে নিহত হয়। সেই থেকে নদীতে নেট জাল টেনে ৩টা বাচ্চা নিয়ে কোন রকমে বেঁচে আছি। বর্তমানে একটি ছেলে একটু আয় রোজগার করতে শিখেছে। বর্তমানে দুই বেলা দু মুঠো খেতে পারছি। তবে এখনো নদীতে জালটানা বন্ধ করতে পারেনি।

রমজাননগর ইউনিয়নের দীপ বিশিষ্ট গোলা খালীর পারে বসবাসরত শিখা রানী জানান, তার স্বামীর একা আয়ে ৫ জনের সংসার চলেনা তাই নদীতে জাল টেনে যে কয় টাকা পাই উহাতে স্বামীর অনেক উপকার আসে।

উল্লেখ্য সুন্দরবন পশ্চিম জোন সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪টি স্টেশন বুড়িগোয়ালিনী, কদমতলা, কৈখালী ও কোবাদক থেকে সুন্দরবনের মধ্যে বাগদার রেনু আহরণের পারমিট বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে সুন্দরবন উপকূলীয় লোকালয়ে নদীগুলোতে বাগদার রেনু আহরণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn