
নগরীর বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদ এর উদ্যোগে ৯ই জুন রোজ শুক্রবার বিকাল ৪.০০ ঘটিকায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামস্থ আন্দরকিল্লা চত্ত্বরে পথসভা ও গাছের চারা বিতরন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান শিক্ষক অর্জন কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইন্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক এর সঞ্চালনায় পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে শ্রী অরবিন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটন কুমার চৌধুরী, প্রধান বক্তা সাংবাদিক স.ম. জিয়াউর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজয় শংকর চৌধুরী সহ আরো উপস্থিত ছিলেন, অর্থ সম্পাদক তপন ভট্টাচার্য্য, সাংস্কৃতিক সম্পাদক টিভি ও বেতার শিল্পী কাজল দত্ত, সাংবাদিক বাবর মোনাফ, সাংবাদিক রোকনউদ্দিন আহমেন, গণ সংগীত শিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, সাংবাদিক প্রিয়াংকা মন্ডল, নারায়ণ চন্দ্র দাশ, সজল শিকদার, মোঃ গফুর আলী, নুরুল আলম প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও পরিবেশের বিরুপ প্রভাব শুধু একটি জাতি নয়, একটি দেশ নয়, একটি মহাদেশ নয়, পুরো দুনিয়াটাই জড়িত হয়ে আছে বিষয়টিতে। মানবজাতি থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণী, পাখি, সামুদ্রিক মাছ, সকলে চরম অসহায়। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আমাদেরকে বার বার পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতির প্রতি সম্মান রক্ষা করিবার জন্য আবেদন জানিয়ে আসিলেও আমরা সমাজ ও দেশের দিকে তাকালে দেখিতে পাই কেমন যেন অবহেলা ও উদাসীনতা। আসুন সবাই মিলে আমাদের প্রজন্মকে পরিবেশ প্রাণ-প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ত করি।
অতি প্রয়োজনীয় তিনটি উপাদানের কোনটি ছাড়া মানুষ কত সময় বেঁচে থাকতে পারে এই নিয়ে একাধিক সারভাইভাল এক্সপার্ট প্রতিকূল পরিবেশ টিকে থাকার লড়াইয়ের অভিজ্ঞ ব্যক্তির বরাত দিয়ে ইনডিপেন্ডেন্ট ইউকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কোন ধরণের খাবার ছাড়া ২১ দিন, পানি ছাড়া বেঁচে থাকা যায় ০৭ দিন, আর বাতাস ছাড়া বেঁচে থাকা যায় মাত্র ৩ মিনিট।
তাই বেঁচে থাকার জন্য আমরা যে অক্সিজেন প্রকৃতি থেকে গ্রহণ করে থাকি, তা একমাত্র গাছপালাই নিরন্তর উৎপাদন করে যাচ্ছে। তাই আমাদেরকে আগামী প্রজন্মের জন্য বিশুদ্ধ বাতাস ও পানি সরবরাহের নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রয়াসে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। না হয় বিশুদ্ধ প্রকৃতি ও পরিবেশ দিয়ে যেতে না পারার অপরাধবোধ আমাদেরকে ক্ষমা করবে না।
বক্তারা এনায়েত বাজার এলাকার “রাণীর দীঘি ও জামালখান এলাকার আসকার দীঘি,কাতালগঞ্জ এলাকার “মুন্সীপুকুর” বহদ্দার বাড়ির এলাকার “বহদ্দারপুকুর” এর সংস্কারের জন্য সরকারের কোন উদ্যোগ না থাকাতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাঁতার না জানার কারণে প্রায়শ শিশু, কিশোররা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করছে, তাই পুকুরগুলোকে সংস্কার করে ছেলে-মেয়েদের সাঁতার শেখার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মেয়রের কাছে জোর দাবী জানান। পথসভা শেষে পরিষদের উদ্যোগে উপস্থিত সকলের মাঝে দুইশতটি জলপাই গাছের চারা বিতরণ করা হয়।