সোমবার - ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নওগাঁর মান্দায় পিড়াকৈর গ্রামে গভীর নলকূপ অকেজো কারণে হুমকিতে ২৫০ বিঘা জমির ইরি-বোরো আবাদ

নওগাঁর মান্দায় পিড়াকৈর গ্রামে গভীর নলকূপ অকেজো কারণে হুমকিতে ২৫০ বিঘা জমির ইরি-বোরো আবাদ

 

 

নওগাঁর মান্দায় পিড়াকৈর গ্রামের কাবোরিং সমস্যার কারণে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) একটি গভীর নলকূপ অনেকটাই অকেজো হয়ে পড়েছে। পরিমাণমত পানি উত্তোলন না হওয়ায় সেচকাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২০ দিন ধরে এ অবস্থা চলছে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পিড়াকৈর গ্রামের একটি মাঠে।

সেচকাজ বন্ধ থাকায় এরই মধ্যে অধিকাংশ জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চরম হুমকির মুখে পড়েছে ওই মাঠের অন্তত ২৫০ বিঘা জমির বোরো আবাদ।
গভীর নলকূপের অপারেটর শাহিনুর ইসলাম বলেন, কয়েক বছর ধরে গভীর নলকূপটিতে ঠিকমত পানি উঠছে না। বোরিং পাইপের নিচের কিছু অংশ ছুটে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বিএমডিএ কর্তৃপক্ষকে জানালে দফায় দফায় শক্তি কমিয়ে বৈদ্যুতিক মোটর সরবরাহ করছে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এ অবস্থায় সঠিকভাবে সেচ দিতে না পারায় ধানের জমি ফেটে যাচ্ছে।

অপারেটর শাহিনুর ইসলাম আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার রি-বোরিং এর জন্য বিএমডিএ অফিসে ১ লাখ জমা দেওয়া হয়েছে। বারবার মোটর পরিবর্তন না করে সঠিক সময়ে রিং-বোরিং করা হলে মাঠের এ অবস্থা হতো না।
মাঠের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, পিড়াকৈর মাঠের গভীর নলকূপ দিয়ে অন্তত ২৫০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়। এবার মাঠে সরিষার আবাদ থাকায় দেরিতে রোপণ কাজ শেষ হয়েছে। এরপর হঠাৎ করেই নলকূপ দিয়ে পানি উঠা বন্ধ হয়ে যায়। সময়মতো সেচ দিতে না পারায় ধানের জমি ফেটে গেছে।

একই মাঠের কৃষক রতন চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘মাঠে আমি সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছি। ধান লাগানোর পর থেকেই পানির সমস্য দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মাঠের পাশের একটি পুকুর থেকে শ্যালোমেশিনে পানি তুলে খেত বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। শুধু শুধু খরচ বেড়েছে। পানির অভাবে ফসল ভালো না হলে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
এ প্রসঙ্গে বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী এসএম মিজানুর রহমান বলেন, গভীর নলকূপটির বোরিং পাইপের নিচের একটা অংশ ছুটে যাওয়া পানি উত্তোলনের পরিমাণ কমে গেছে। মাঝে মাঝে তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সেখানে রি-বোরিং এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে নলকূপটি চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn