
ফরিদপুরে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের দায়ে মিলন খান (৩২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মিলন খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দৈব্যকনন্দনপুর গ্রামের মিলন ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে নাবালিকা হওয়ায় কিশোরীর পরিবার সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। ২০১১ সালের ২ অক্টোবর মিলন খান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ৩০ অক্টোবর বোয়ালমারী থানায় মিলন খানসহ চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন কিশোরীর বাবা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার এসআই মো. আতিয়ার রহমান ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মিলন খানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মিলন খানের মা চম্পা বেগম জানান, মিলনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। কিশোরীর পরিবার বড়লোক হওয়ায় মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।