
নিজস্ব প্রতিবেদক
চান্দগাঁওয়ের ‘শিক্ষাশালা’ নামে এক কোচিং সেন্টারে শিক্ষকের ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল এক ছাত্রী।এই বিষয়টি পরিবারের লোকজন জেনে ফেলায় লজ্জায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় মেয়েটি।অবশেষে হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন মেয়েটি।ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হামিদ মোস্তফা জিসানকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ ।
রবিবার(২৫ ফেব্রুয়ারি)সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ওই ছাত্রী মারা যায়।
ধর্ষক কোচিং শিক্ষক হামিদ মোস্তফাজি সানকে(২১)কক্সবাজারের মহেশখালীর পশ্চিম পাড়ার বাবুল মিয়ার পুত্র।তিনি ইসলামী ছাত্রসেনা নামে তরিকত ভিত্তিক একটি সংগঠনের মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়ন সভাপতি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই শিক্ষার্থী কয়েকমাস ধরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর রোডের ‘শিক্ষাশালা’ কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে আসছে। এই সুযোগে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও মামলার আসামি জিসান তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর কোচিং সেন্টারের ভেতরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় আপত্তিকর অবস্থায় ছবিও ধারণ করা হয়।
পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সাথে কয়েক দফায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করলে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ধর্ষিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাই জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।