
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার একটি মহিলা মাদ্রাসার হোস্টেলে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ময়নামতি ইউনিয়ন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার গোপালসার গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ওসি ইসমাইল হোসেন।
অভিযোগ রয়েছে, গত ১৪ জুন রাতে মাদ্রাসার হোস্টেলে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম। এ ঘটনা জেনে যায় হোস্টেলের অন্য ছাত্রীরাও। পরদিন সকালে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে অধ্যক্ষ তাঁর অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে যান এবং ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন। কিন্তু ঘটনাটি কোনোভাবে জানতে পারে শিশুটির পরিবার। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা বলেন, তাঁর মেয়ের থেকে জানতে পেরেছেন আগেও একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন অধ্যক্ষ। তাঁর মেয়ের হোস্টেলের কক্ষের দরজার সিটকিনি আগে থেকেই ভাঙা ছিল। এ কারণে রাতে দরজাটি সিটকিনিবিহীন বন্ধ করে ঘুমাতে হতো। তাঁর ধারণা, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ দরজাটির সিটকিনি ভেঙে রেখেছে।
রাতে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনা গত সপ্তাহে ঘটলেও মঙ্গলবার অভিযোগ পেয়েই মামলা নেওয়া হয়েছে। এরপর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানিয়েছে, এর আগেও তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করেছেন অধ্যক্ষ।