রবিবার - ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মপাশায় বৈধ ইজারাদারকে জোড় করে উঠিয়ে দিয়ে ফিশারী দখল করে লুঠপাট ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ধর্মপাশায় বৈধ ইজারাদারকে জোড় করে উঠিয়ে দিয়ে ফিশারী দখল করে লুঠপাট ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

 

ঘটনার স্থান সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার ডুবাইল বিলে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, বিগত চার বছর আগে উপজেলার ইসলামপুর গ্ৰামে স্থাপিত “জয়ধরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি”র মাধ্যমে এই বিল সরকারের নিকট থেকে ইজারা নেয়া হয়।সভাপতি মালেক শিকদার এর সাক্ষরিত এক চুক্তি অনুযায়ী জৈনপুর গ্রামের ২৬ জন মৎস্যজীবী একত্রিত হয়ে ফান্ড ঘটন করে বার্ষিক ৬২লাখ টাকা খাজনা পরিশোধ করে তারা বিগত চার বছর ধরে জলমহালটি ভোগ করে আসছে।
গত ২২শে ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৪টার সময় একদল সন্ত্রাসী হামলা করে বৈধ পথে ইজারা নেয়া বিলের মালিকদের বিল থেকে বেরকরে দিয়ে জোড় করে ফিশারী ক্যাম্প দখল করে ও মাছ সংগ্রহ করে বাজারজাত শুরু করে।২৭শে ডিসেম্বর বিলের মালিকগন পুনরায় বিল রক্ষা করতে দখলে আসলে অবৈধ দখল দারেরা মালিকদের উপস্থিত ঠের পেয়ে যে যার মতো পলায়ন করে।
উল্লেখ্য থাকে যে ,গত চার বছর আগে জৈন পুর গ্ৰামের নীরিহ জেলেদের কে বিল দিয়ে ২য় বার কোন পার্টিকে বিক্রিত বিল বিক্রি করে সমিতির সভাপতি মালেক শিকদার। যার ফলশ্রুতিতে দুই পক্ষের মধ্যে এই দখল পাল্টা দখলের ঘটনা ঘটেছে।ভোক্তভোগী অসহায় বিল মালিকদের প্রায় বিশ লক্ষ টাকার মাছ লুঠপাট করে নিয়ে যায় দূর্বিত্তরা। এই ব্যাপারে ভোক্তভোগী জেলে সংগঠনের পক্ষে মোজাম্মেল মিয়া পিতা খোরশেদ খান জৈনপুর বলেন ,
আমরা জৈনপুর গ্ৰামের নিরীহ অসহায় জেলে সম্প্রদায় ।যারা বিভিন্ন ভাবে ধার দেনা করে বাৎসরিক ৬২লক্ষ টাকা খাজনা দিয়ে এই বিল ফিশিং করছি বিগত চার বছর ধরে।
আমাদের বিশ লাখ টাকার মাছ জাল সূতো ও তেলের ড্রাম সহ লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
এব্যাপারে সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহেদ নূর কে জিজ্ঞাসা করলে,তিনি বলেন “জয়ধরা মৎস্যজীবী সমিতির” সভাপতি মালেক শিকদার এর সাক্ষরিত চুক্তিতে জৈনপুর জেলে সম্প্রদায় এই বিলের বৈধ মালিক।এবং তিনি আরোও বলেন স্থানীয় ইউ ,পি সদস্য হিসাবে ইউ এন ও এবং এসিলেন্ট স্যারেরা আমাকে অনুমতি দিয়েছেন যে, আমি যেন এই বিলের বৈধ মালিক দের সাহায্য সহযোগিতা করি ও খুঁজ খবর রাখি।
তাহলে ইউপি সদস্যের ভাষ্য মতে জৈনপুর গ্ৰামের জেলে সম্প্রদায় অর্থাৎ মোঃ মোজাম্মেল মিয়া ও তার পার্টনার বাকী২৫জন,ও তাকে নিয়ে মোট ২৬জন এই ডুবাইল বিলের বৈধ মালিক।
এমতাবস্থায় জৈন পুর গ্ৰামের মোজাম্মেল মিয়া ও তার সহযোগী সহ মোট ২৬জন জেলেদের বিল লুঠপাট এর ঘটনায় ভোক্তভোগী জেলে সম্প্রদায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবী করেন। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের এর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিষয়টা নিয়ে ধর্মপাশা উপজেলার ডুবাইল বিলে এক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn