
দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিল প্রথম স্ত্রী
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কুশলা ইউনিয়নের বিরামের কান্দি গ্রামের ব্যবসায়ী রুবেল সরদার (৩৫ )দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে পুরুষাঙ্গ কেটে কেটে দেয় প্রথম স্ত্রী রেশমা বেগম। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনা ঘটে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের বিরামেরকান্দি গ্রামে। রুবেল সরদার কুশলা ইউনিয়নের বিরামের কান্দির মোহাম্মদ মনজেল সরদারের ছেলে এবং ঘাঘর বাজারের থাই অ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১২ বছর আগে রুবেল সরদার একই গ্রামের আমির আলী ফরাজীর মেয়ে রেশমা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর, রুবেল বিভিন্ন নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে ছিলেন, যার ফলে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। তিন মাস আগে, রুবেল সরদার কোটালীপাড়া উপজেলার তারাকান্দর গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক নারীকে বিয়ে করেন, যা তার প্রথম স্ত্রীর কাছে সহ্য করা কঠিন হয়ে ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, রেশমা বেগম সোমবার গভীর রাতে রুবেলকে ঘুমন্ত অবস্থায় ব্লেড দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন।
রুবেল সরদারের চিৎকারে তার পরিবারের সদস্য সহ বাড়ির অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে আসলে রেশমা পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরাতাকে উদ্ধার করে প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। তবে, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে ঢাকার ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান হয়।
রুবেলের মা সাফিয়া বেগম ঘটনাটি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “রুবেল রাতে বাড়ি ফিরে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। গভীর রাতে তার চিৎকার শুনে আমি এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত তার কাছে যাই। তখন দেখি, রুবেল মাটিতে পড়ে আছে এবং তার স্ত্রী রেশমা পালিয়ে গেছে। এরপর আমরা তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসি।”
এদিকে, রুবেলের স্ত্রী রেশমা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, রেশমার বোন ফতেমা বেগম বলেন, “আমার বোনের দুটি সন্তান রয়েছে, কিন্তু তিন মাস আগে রুবেল হিন্দু এক নারীকে বিয়ে করেছে। এটা মেনে নিতে না পেরে রেশমা হয়তো এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে, আমরা এ ঘটনায় জড়িত নই।”
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, “এ পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ আসলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং প্রবাসীসহ বিভিন্ন স্থানে গ্রামবাসীরা বিষয়টি নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন। তবে, বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এর যথাযথ তদন্ত শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।