
দ্বিতীয় বর্ষের মগরা হাট রমজানিয়া মারর্কাসের ঐতিহাসিক হলুদবেড়িয়া ময়দানে সালানা ইজতেমা
দক্ষিণ ২৪পরগনার জেলার মগরা হাট থানার মগরা হাট দুই নম্বর ব্লকের ইসলাম ধর্মের পশ্চিমবঙ্গের সর্বপ্রথম ইসলামির ধর্মীয় তাবলীগ জামাতের ভিত্তি স্থাপন হয় মগরা হাট রমজাননিয়া মারর্কাসে মাওলানা ইলিয়াস রহমাতুল্লাহ নেতৃত্বে। মাওলানা ইলিয়াস রহমাতুল্লাহ আলাইহি অক্লান্ত পরিশ্রমে মগরা হাট রমজানিয়া মার্কাসের বিভিন্ন প্রান্তে ইসলাম ধর্মের তাবলীগ জামাতের মাধ্যমে দিনই প্রচার শুরু করেন।এমনকি আজ মগরা হাট রমজানিয়া মারর্কাস সারা বিশ্বের বিভিন্ন কোনায় কোনায় ইসলাম ধর্মের প্রচারে অংশ গ্ৰহন ব্যাপারে উল্লেখ যোগ্য। মগরা হাট রমজানিয়া মারর্কাসের নেতৃত্বে রমজানিয়া মার্কাসের হলুদ বেড়িয়া ময়দানে রমজানিয়া মার্কাসের হালকার উদ্দগ্যে তিন দিন ব্যাপী এক ঐতিহাসিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় হলুদবেড়িয়া ময়দানে ।
ইজতেমা শব্দের অর্থ হলো সমাবেশ বা সম্মেলন। এটি আরবি শব্দ। ইজতেমার উদ্দেশ্য হলো মানুষের মধ্যে ঈমান ও তাকওয়ার বোধ জাগ্রত করা। তাবলিগ জামাতের বার্ষিক জনসমাবেশকে ইজতেমা বলা হয়। মগরা হাট রমজানিয়া মারর্কাসের হলুদ বেড়িয়ার ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমা নামে একটি বার্ষিক ইসলামী সমাবেশ হয়।
ইজতেমার উদ্দেশ্য ব্যক্তিত্বের নৈতিক সংস্কার, আত্মশুদ্ধি, মানুষের মধ্যে ঈমান ও তাকওয়ার বোধ জাগ্রত করা, দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া দিল্লীর নিজামুদ্দিন মসজিদের কাছে নূহ মাদ্রাসায় ১৯৪১ সালে সর্বপ্রথম তাবলিগ জামায়াতের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে প্রায় ২৫ হাজার মুসল্লি অংশ নেন। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর এই সমাবেশ নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে । মগরা হাট রমজনিয়া মারর্কাসের চালতাবেড়িয়া হালকার ৭২টি মসজিদের খিদমতের দ্বায়িত্ব পালন করেন রফিকুল মোল্লা চাতরা(দেওয়ানগঞ্জ)।এই হলুদবেড়িয়া ইজতেমা ময়দানে সর্বমোট ১৭টি ক্যান্টিন আহারে ব্যাবস্থা করেন। ইজতেমা ময়দানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সহ এম্বুলেন্স ব্যাবস্থা করেছেন ইজতেমা কর্তৃপক্ষ থেকে।তবে উল্লেখ যোগ্য খাদ্যের গুনাগুন বিবাচনা করলে বোঝা যায় চালতাবেড়িয়া হালকার স্থান প্রথম।এই ইজতেমা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল কর্তৃপক্ষ এই ময়দানে কোন দোকানে ভূমিকা রাখেনি। কেবলমাত্র ফ্রি দোকান ছাড়া অন্য কোন দোকান বসাতে পারবেনা এই ইজতেমা কর্তৃপক্ষ পক্ষথেকে আদেশ।এই ইজতেমা খাদ্যের গুনাগুন দিক দিয়ে সবচেয়ে নিকৃষ্ট খাদ্য মগরা হাট দুই নম্বর ক্যান্টিন। বিভিন্ন দেশবিদেশ থেকে এখানে প্রচুর পরিমাণে জামায়াত উপস্থিত হল।এই ইজতেমা ময়দানে লক্ষাধিক অধিক ইসলামী মানুষ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হল। দিল্লির মারকাজ থেকে বিশিষ্ট ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ব্যাক্তিবর্গ ও এলাকার বুদ্ধিজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।