রবিবার - ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ‘সর্দারনী’ ঝুমুর ও তার স্বামী আটক

দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ‘সর্দারনী’ ঝুমুর ও তার স্বামী আটক

 

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর প্রভাবশালী সর্দারনী ঝুমুর বেগম (৪২) এবং তার স্বামী ইউপি সদস্য জলিল ফকির (৪৪)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ রয়েছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান। ওসি উল্লেখ করেন যে, ঝুমুর বেগম দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর একজন প্রভাবশালী সর্দারনী ছিলেন। তিনি ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত যৌনপল্লীর ভেতরে প্রভাব বিস্তার করে একটি মাদক ব্যবসার স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিলেন।

রোববার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে যৌনপল্লী সংলগ্ন হোটেল নিরালা বোডিংয়ের সাত নম্বর কক্ষ থেকে একটি বিদেশি মদের বোতল ও দুটি রয়্যাল ডাচ বিয়ারসহ ঝুমুর বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, গত ৪ আগস্ট গোয়ালন্দ রেলগেট এলাকায় চলমান আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে শরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী ১০ ডিসেম্বর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার আসামি হিসেবে ঝুমুর বেগমের স্বামী জলিল ফকিরকে শনিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হোটেল নিরালা বোডিং থেকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঝুমুর বেগম বাংলাদেশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। হাবিবুর রহমানের ক্ষমতার প্রভাবে তিনি যৌনপল্লীতে অসহায় নারী ঐক্য সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের সভাপতি পদ ব্যবহার করে তিনি পল্লীর যৌনকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং পরিচালনা করতেন মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসর।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn