সোমবার - ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দেবপ্রিয় বড়ুয়ার প্লাটিনাম জয়ন্তীতে বক্তারা সমাজ ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ দেবপ্রিয় বড়ুয়া আলোকময় দীপশিখা

 

সমাজ ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিত ক্ষণজন্মা, সাহসীপ্রাণ, কল্যাণকামী ও আলোকিত মানুষের কখনো মৃত্যু হয় না। তাঁরা মৃত্যুঞ্জয়ী, স্মরণীয় ও বরণীয়। তাঁরা আজীবন সমাজ, রাষ্ট্রে ও মানসপটে দিব্যমান ও চিরঞ্জীব। আজীবন কর্মগুণে জগৎময় সমুজ্জ্বল হয়ে রয়, কীর্তিতে মহীয়ান হয় তাঁরা। তাঁদের কখনো ইতিহাস ও কালচ্যুত করা যায় না। তাঁদেরই একজন সমাজদরদী, সমাজপতি, সমাজসেবী, কর্মবীর, ধর্মভীরু ও মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব বীরপ্রসবিণী চট্টলার সূর্যসন্তান দেবপ্রিয় বড়ুয়া। সমাজ ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ দেবপ্রিয় বড়ুয়া বাংলা ও বাঙালির মানসপটে আলোকময় দীপশিখা। বীর চট্টলার সূর্যসন্তান, সমাজপতি দেবপ্রিয় বড়ুয়ার প্লাটিনাম জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
দেবপ্রিয় বড়ুয়া প্লাটিনাম জয়ন্তী ও আজীবন সম্মাননা পরিষদের উদ্যোগে গত ১২ মে শুক্রবার বিকাল ৫টায় নগরীর প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বীর চট্টলার রাউজানের সূর্যসন্তান, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, সমাজপতি ও দানবীর দেবপ্রিয় বড়ুয়ার প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও আজীবন সম্মাননা অনুষ্ঠান উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া পিএইচডি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। শুভ আশীর্বাদক ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার মহামান্য সংঘরাজ অগগমহাসদ্ধর্মজ্যোতিক্বাধ্বজ অধ্যাপক বনশ্রী মহাথেরো। উদ্বোধক ছিলেন মহামুনি মহাবিহারের অধ্যক্ষ রাজগুরু অভয়ানন্দ মহাথেরো। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সাবেক মহাসচিব, একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি সদ্ধর্মজ্যোতি সুনন্দ মহাথেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসচিব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত, দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক কবি রাশেদ রউফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোজাম্মেল এইচ ভূঁইয়া, আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি-ভারতের সাধারণ সম্পাদক দেবকন্যা সেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্লাটিনাম জয়ন্তী ও আজীবন সম্মাননা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সুব্রত বরণ বড়ুয়া। অধ্যাপক ড. সুব্রত বরণ বড়ুয়া ও চম্পাকলি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংঘরাজ মহাসভার যুগ্ম মহাসচিব বোধিমিত্র মহাথেরো, প্রফেসর ড. দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া, লায়ন ডা. মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরী, ঝুলন বড়ুয়া, প্রকৌশলী পরিতোষ কুমার বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা রূপায়ন বড়ুয়া, রোটারিয়ান ডা. অমরেশ বড়ুয়া চৌধুরী, অঞ্চল কুমার তালুকদার, অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া, তাপস হোড়, অটল বিহারী বড়ুয়া, সুজিত বরণ বড়ুয়া, প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, প্রদীপ কুমার বড়ুয়া আনন্দ, লায়ন কেমি বড়ুয়া মুক্তা।


সভায় বক্তারা আরো বলেন, সমাজ ও মানবতার কল্যাণে এক আলোকিত দীপশিখা ও সাহসিকতার পথিকৃৎ দেবপ্রিয় বড়ুয়া। একজন মানুষ সাদামাটা জীবনযাপন করে সমাজ, ধর্ম, মানুষ ও মানবতার কল্যাণে ব্রতী হয়ে কল্যাণকার্মী বহু কাজ করা যায় এবং নিজের জীবনকে উৎসর্গ করা যায়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেবপ্রিয় বড়ুয়া। বক্তারা আরো বলেন, দেবতার প্রিয়জনই হয় দেবপ্রিয়। সকলেই কিন্তু দেবতার প্রিয় হতে পারেন না। কিছু কিছু মানুষ দেবতার প্রিয় হন। আর দেবতার প্রিয়জনদেরই একজন সমাজপতি দেবপ্রিয় বড়ুয়া। তাঁর আলোকিত জীবনদর্শন সমাজের অনুকরণ ও অনুসরণীয়। আগামী প্রজন্মের জন্য এক অনুসরণীয় ও অনুপম আদর্শও বলা চলে দেবপ্রিয় বড়ুয়ার আলোকময় জীবনাদর্শ।
অনুষ্ঠানে জয়ন্তী নায়ককে উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা ক্রেস্ট, ফুলেল শুভেচ্ছা, উপঢৌকন ও উপহারসামগ্রী প্রদান করা হয় এবং আচার্য দীনেশচন্দ্র রিসার্চ সোসাইটি-ভারতের পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ সমাজসজ্জন রত্ন ২০২৩ স্বর্ণপদক ও প্রশংসাপত্র তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে মুনা বড়ুয়া চৌধুরী সম্পাতি ‘দিব্যালোয় দীপ্ত দেবপ্রিয়’ নামক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানের সর্বশেষ পরিবেশনায় ছিল মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn