
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বহিষ্কারের তথ্য জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে এটি কার্যকর হবে।’
বহিষ্কৃত দুইজন হলেন- আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আরাফাত রায়হান। এরা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বহিষ্কৃত খালেদ মাসুদ শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও আরাফাত রায়হান উপ-দপ্তরবিষয়ক সম্পাদক। এর মধ্যে খালেদ মাসুদ ২০২১ সালে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে আরও একবার বহিষ্কার হয়েছিলেন। এদিকে নির্মম এই হামলার ঘটনায় মাত্র ছয় মাসের বহিষ্কারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে চবি সাংবাদিক সমিতি।
এর আগেও অভিযুক্তদের মধ্যে খালেদ মাসুদ শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার হয়েছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ানোর অভিযোগ ছিল।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানায় চবি সাংবাদিক সমিতি। ছয় মাসের এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সমিতির নেতারা। সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী সাংবাদিক এখনও হাসপাতালের কাতরাচ্ছেন। এ ধরনের নৃশংস ঘটনায় এত লঘু শাস্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন শাস্তির নামে মূলত অপরাধীদেরকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।’
সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, ‘বিচারের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রহসন করছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।’