বৃহস্পতিবার - ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ অর্জুনাহার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৮০ টি পরিবারের মানববন্ধন ‎

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ অর্জুনাহার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৮০ টি পরিবারের মানববন্ধন

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ অর্জুনাহার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৮০ টি পরিবারের উপর আওয়ামীলীগের দোসর দ্বারা সীমাহীন দুর্নীতি, জুলুম, চাঁদাবাজি ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

গতকাল ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের অর্জুনাহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৮০ পরিবার ২ ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
‎ভুক্তভোগী আব্দুল করিম বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজা মিয়া, তুজা, আনসার ও মনসের আড়াই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের কে টাকা না দেওয়ায় তারা পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১২ মন মাছ নষ্ট করে। এতে অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছে এবং ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো কাজে আসেনি।

‎অন্যান্য বক্তারা বলেন, আমরা গরীব মানুষ প্রতি পরিবার থেকে গড়ে ২ হাজার টাকা করে দেয় এবং মাছের পোনা কিনে মাছ চাষ করি। মাছ বড় হয়ে গেলে বিক্রির সময় হলেই ৪জন চিহ্নিত আওয়ামিলীগ চাঁদাবাজরা এসে চাঁদাবাজি করে। এর প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাদের ওপর নেমে আসে সীমাহীন অত্যাচার। এমনকি মেরে ফেলারও হুমকি আসে। এই চাঁদাবাজির প্রতিকার চেয়ে আমরা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কিন্তু আজ অবধি কোনো প্রতিকার পাইনি। এইসব আওয়ামীলীগ চাঁদাবাজের কাছে প্রশাসনও নীরব। ‎সব অন্যায় অত্যাচার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের এই মানব বন্ধন।

‎আরও বলেন, এই মানব বন্ধনের কারণে আমাদের এই আশ্রয়ন প্রকল্পের মানুষের ওপর কি নির্মম নির্যাতন নেমে আসতে পারে, তা আমাদের জানা নেই। আমাদের জীবনও চলে যেতে পারে। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকার পতন হলেও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষ আজও তাদের হাত থেকে মুক্ত হয়নি। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পায়নি। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন অভিযুক্ত রাজার (মা) রাবেয়া বেওয়া ও (ভাই) আব্দুল আজিজ, নরেশ চন্দ্র, রহিমাসহ আরও অনেকে।

‎এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ কে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেনি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn