মঙ্গলবার - ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে

আগামী ১২ জুলাই সকাল ১১ ঘটিকার সময় তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিভাগের তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে এক প্রস্তুতি সভা চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এএম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক স ম জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, যুগ্ন সম্পাদক গাজী আইয়ুব আলী, মোহাম্মদ হারুন, প্রচার সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুর রহমান বিপ্লব, আজিজ উদ্দন পিন্টু, মোহাম্মদ বাহার মিয়া, মোহাম্মদ দেলোয়ার, নুর আলম সুজন, অপু সিং, মোঃ খালেক, আব্দুল হান্নান। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন- তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশব্যাপী তারুণ্যের সমাবেশে যেই তারুণ্যের উচ্ছাস শুরু হয়েছে উত্তাল তরঙ্গের মাঝে ভেসে যাবে অবৈধ অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী আওয়ামী দূঃশাসন। অচিরে গণতন্ত্র মানবাধিকার ভোটের অধিকার ফিরে আসবে। তার জন্য দেশের সকল শ্রমিক-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সকল শ্রেণী পেশার মজলুম জনতার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। ছাত্র-শ্রমিক-জনতা, যুব শ্রমিক জনতা গড়ে তোলো একতা- এই শ্লোগানে মুখরিত করে তারুণ্যের সমাবেশকে সফল করবেন সকল নেতৃবৃন্দ। তিনি আরো বলেন, সরকার গদি রক্ষার জন্য দেশ বিক্রি করে দিয়ে টিকে থাকতে চায়। চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল স্থাপন করে বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আরেকটি নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করছে। যা দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজ। আবার দুর্নীতির আখেরা গোছাতে কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুতের নাম দিয়ে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। এটি দেশের মানুষ নিশ্চয়ই অবগত আছেন। কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনার অবৈধ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুব শ্রমিক ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে- এটা আমি বিশ্বাস করি। যুব শ্রমিকরা আজকে দুঃশাসনের কবলে নিষ্পেষিত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। হাজার হাজার শ্রমিক বেকারত্বে দিনযাপন করছে। অতীতে প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে কর্মচ্যুত হচ্ছে শ্রমিকেরা। নতুন করে কোন কলকারখানা শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না। দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারণে তাই আগামী যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সকল গণ-আন্দোলনে শ্রমিক জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn