শুক্রবার - ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) স্মরণে স্মারক বক্তৃতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এঁর পবিত্র স্মৃতির স্মরণে স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ডিআইআরআই)’র উদ্যোগে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগিতায় ঢাবি আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ স্মারক বক্তৃতা।
মাইজভাণ্ডার গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিআইআরআই’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব বিভাগের ইনচার্জ প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম। ঢাবি বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, ঢাবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. ফাজরীন হুদা ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শাহ কাউসার মোস্তফা আবুলুলাইয়া।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সুফিগণ মনে করেন-অন্তরের লুকায়িত আত্মাকে জানাই জীবনের মূল-লক্ষ্য। সুফিসাধকগণ সে সত্যকে লাভ করেই ক্ষান্ত হন না, বরং সেই সত্যের সঙ্গে নিজেকে লিপ্ত করেন, যাকে সুফি পরিভাষায় ‘ফানা-ফিল্লাহ ও বাকা বিল্লাহ’ বলা হয়।
তিনি বলেন, সুফিরা মনে করেন ইসলাম বিশেষ কোন শ্রেণি, জাতি বা সম্প্রদায়ের জন্য নয়, বরং ইহা সকল জাতি, সকল প্রাণি ও সকল সৃষ্টির জন্য এক আত্মিক তাগিদ।
স্বাগত বক্তব্যে সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, সুফিবাদ ধর্মের সংকীর্ণতা, গোঁড়ামী ও বেড়াজাল ভেঙ্গে পরিচ্ছন্ন মন নিয়ে সবাইকে আপন করে নিতে সদাপ্রবৃত্ত। আর এই জন্যই মনের মলিনতা দূর করে দেশ হতে দেশান্তরে ধাবিত হয়েছে তাপিত জনের দুঃখ নিবারনে।
তিনি আরও বলেন, সুফিগণ দ্বীন ও দুনিয়ার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করেছে, স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে প্রগাঢ় বন্ধন স্থাপন করেছে, তাঁরা খালিক ও খালকের ব্যবধান দূরীভূত করে একে অপরের পরিপূরক করে তুলেছে।
এর আগে সোমবার সকালে ঢাবি আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে এবট্রাক্ট লিখনের উপর একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাবি বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা ফেসিলেটর ছিলেন বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবু সায়েম ও চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়া আগামী ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির মাধ্যমে এবং ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর অনলাইনে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিআইআরআই)’র উদ্যোগে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক কনফারেন্স উপলক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn