রবিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা টাংগাইল মহাসড়কে ধীরে ধীরে বাড়ছে যাত্রীর চাপ ভোগান্তিতে সাধারণ ঘরমুখী মানুষ

ঢাকা টাংগাইল মহাসড়কে ধীরে ধীরে বাড়ছে যাত্রীর চাপ ভোগান্তিতে সাধারণ ঘরমুখী মানুষ

 

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ক্রমে ক্রমে বাড়তে যাত্রীর চাপ। নানা পেশাজীবী সকল মানুষের নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে সকল মানুষ

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে যাত্রীদের ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সাধারণত এই সময়টাতে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু আজ সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছে করছেন নানান পেশাজীবী মানুষ ।সারি সারি ধরে চলছে যাত্রীবাহী বাস। এতে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

নিরাপদ সড়ক বৈষম্য ছাত্র বিরোধী আন্দোলনের(নিসআ) কিছু ছাত্র এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিয়মমাফিক মতন ট্রাফিকের কাজ করে আসছে।

স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীদের সংখ্যা বেশী লাইন ধরে থাকায় পরিবহন শ্রমিকদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, ভোগড়া বাইপাস, কালিয়াকৈরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইজ উদ্দিন বলেন, মহাসড়কে যানজট প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীদের চাপ কম থাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আগামীকাল শুক্রবার থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা করছি। এজন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যাত্রীদের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশ নজরদারি বাড়িয়েছে। যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা যাতে না হয়, সে বিষয়ে পুলিশ কড়া অবস্থান নিয়েছে।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হলেও অনেকে এখনও ঢাকায় অবস্থান করছেন। মূলত আগামীকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা ছুটি হওয়ায় তখন ঘরমুখী মানুষের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আজকের স্বাভাবিক অবস্থা যাত্রীদের স্বস্তি এনে দিয়েছে।

চন্দ্রা এলাকায় কর্মরত আকরাম বাস চালক বলেন, সকালের চেয়ে দুপুরের পর যাত্রির উপচে পড়া ভিড় লেগে যাওয়াই বাস চলছে কিন্তু সিট খালি নেই । তবে বাইক চালক বলে যাত্রী সকালের চেয়ে দুপুরের পর বেশি চাপ আরো বাড়তে পারে শুক্রবার থেকে চাপ বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, যাত্রীদের স্বস্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। যাত্রীদের চাপ দুপুর ২টার পরথেকেই বারছে যাত্রীদের নানা ভোগান্তি যানজট এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বর্তমানে গাজীপুরের মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। তবে আগাম প্রস্তুতি না থাকলে শুক্রবার থেকে যাত্রীদের ভিড় সামলানো কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn