৩১মে বুধবার রাতে রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখানে একটি বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা অবস্থায় কানাডা প্রবাসী গৃহবধূ আফরোজার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আফরোজার স্বামী আশরাফুলের পরিবারের চার জনকে আটক করা হয়েছে।দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মৃত আফরোজা বেগমের ভাই গত ২৯মে তার বোন নিখোঁজ বলে একটি জিডি করেন। থানার এক অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেন।
আশরাফুলের সঙ্গে আফরোজা বেগমের বিয়ে হয় কানাডাতে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ছিলেন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা।
তারা দেশে ঘুরতে আসেন কয়েক মাস আগে। তাদের মধ্যে সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে কথা কাটা-কাটির জেরে আফরোজা বেগমকে বটি দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে স্বামী আশরাফুল ইসলাম। ঘটনার পাঁচ দিন পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে স্বামী পালিয়ে গেছে কানাডাতে। কাবিনের টাকার জন্য এ হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
শুক্রবার শেষ কথা হয় মেয়ে আফরোজার সঙ্গে তার বাবার। শনিবার ঢাকায় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তার। যেমন কথা তেমন কাজ কিন্তু মেয়ের সঙ্গে আর দেখা হয়নি তার। কখনও ভাবতে পারেননি, আর কখনও বাবা বলে ডাকবে না আফরোজা, বিলাপ করে বলছিলেন বৃদ্ধ বাবা।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাতে কথা কাটা-কাটির একপর্যায়ে বটি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন স্বামী আশরাফুল।সেখানেই মৃত্যু হয় তার। পরে তার মরদেহ বাড়ির উঠানে গর্ত করে পুঁতে রাখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনার পর সবাই যখন আফরোজাকে খুঁজতে ব্যস্ত, ঠিক ওইসময় রোববার কানাডা চলে যান স্বামী আশরাফুল ইসলাম।
সোমবার থানায় অভিযোগ জানায় আফরোজার পরিবার। তদন্তের সূত্র ধরে বুধবার রাতে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। কাবিনের এক কোটি টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের।
বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আশরাফুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।