শনিবার - ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ডুমুরিয়ায় দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ চামড়ার মান‌ভালো রাখতে আলোচনা সভা

ডুমুরিয়ায় দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ চামড়ার মান‌ভালো রাখতে আলোচনা সভা

সোমবার ২জুন সকাল সাড়ে ১০টায় ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এতিমখানা মাদ্রাসার মুহতামিমদেরকে নিয়ে আলোচনা সভা সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন, উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলার সাজিয়াড়া সামছুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুস্তাক আহমেদ, উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলার সাজিয়াড়া সামছুল উলুম মাদ্রাসার সভাপতি হষরত মাওলানা মুফতি আব্দুল কাইয়ুম জমাদার,ইমদাদুল উলুম চাকুন্দিয়া মাদ্রাসা, চাকুন্দিয়া, মুফতী আবু সালেহ,খলশী ক্যাডেট স্কীম মাদ্রাসা, খলশী,মুফতী সাইফুল্লাহ।
পুরাতন সাব রেজিস্ট্রি অফিস হেফজখানা, হা: আমিনুল ইসলামকাঠালতলা আল হাবীব (সা মাদ্রাসা ও হেফজখানা, কাঠালতলা মাও: মোস্তফা কামাল
শোভনা মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা, শোভনা,মাও; যাকারিয়া,চিংড়া শেখপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা, চিংড়া, হা: মুতাসীম বিল্লাহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য চামড়া দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। পোশাকশিল্পের পরই চামড়াশিল্পের স্থান। আশির দশক থেকেই চামড়াশিল্পের নানা সমস্যার কথা বলা হলেও এই শিল্পকে একটি সুপ্ত কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা যায়নি। অথচ পোশাক খাতের প্রতি নজর বেশি থাকায় এ খাত অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু চামড়া নিয়ে ওই রকম কোনো গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। করোনার কারণে গত দুই বছর রপ্তানিতে চামড়া খাতের কাক্সিক্ষত অর্জন না থাকলেও গত অর্থবছরে (২০২১-২০২২) রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩২ শতাংশ। এই শিল্পে রপ্তানির সম্ভাবনাকে ধরে রাখতে হলে আমদানিযোগ্য কাঁচামাল, শুল্ক ব্যবস্থাপনা, পণ্য ছাড় করা ও ব্যবসা সহজীকরণ নিশ্চিত করা উচিত। চামড়ার ওপর ভর করে দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায় ৯ লাখ মানুষ জীবিকানির্বাহ করে। এই শিল্পকে কেন্দ্র করে দেশে গড়ে উঠেছে প্রায় ২৩০টির ও বেশি ট্যানারি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী এ বছর দেশে প্রায় ৯৯ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। কয়েক বছর ধরে স্থানীয় বাজারে কাঁচা চামড়ার দাম কম। কোরবানির সময় পানির চেয়েও কম দামে চামড়া বিক্রি হয়। শুধু তা-ই নয়, চামড়াকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করার কারণে এবং উপর্যুক্ত দাম না পাওয়ায় অতীতে চামড়া নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে, মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। এ ধরনের খবর খুবই উদ্বেগজনক। চামড়ার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ খাতকে দেখার কি কেউ নেই! অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বাংলাদেশি চামড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দামও বেশি কারণ বাংলাদেশি চামড়ার মান ভালো। সুযোগ নিয়ে কিছু পাচারকারী প্রতিবেশী দেশ ভারতকে প্রতি বছর চামড়া পাচার করে যাচ্ছে। এতে দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ও দেশীয় বাজার দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশি বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের কারখানা প্রতিষ্ঠা, চাহিদা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করলে চামড়া পাচার রোধ করা সম্ভব। দেশের এ গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ যদি নষ্ট হয়, মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়, কিংবা পাচার হয়, তাহলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই সম্পদের বাজার নষ্ট হবে, হারাবে রাজস্ব আয় ও বৈদেশিক মুদ্রা। তাই চামড়াশিল্পের এই সংকট উত্তরণের জন্য সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। বুড়িগঙ্গা নদীকে বাঁচাতে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে ২০১৭ সালে চামড়াশিল্পকে সাভারে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি), ডি ওয়াটারিং ইউনিট, পাম্প, জেনারেটর ও ল্যাবের কাজ এখনও শেষ হয়নি। সিইটিপি কার্যকর না থাকায় সব বর্জ্য গিয়ে ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn