মঙ্গলবার - ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ডিএনসি চট্টগ্রামের উপপরিচালক ও সিআইডি পুলিশের এক পরিদর্শকের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ!

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা ও সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ বিপি ৭৭০৬১০৮৫৪৪ এর বিরুদ্ধে আনোয়ারার এক ইয়াবা কারবারিকে রক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি করেছেন, আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি (একাংশ) ও জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি, সাংবাদিক এম জসিম উদ্দিন। জসিম উদ্দিনের লিখিত অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গতবছর ৩/৪/২০২২ ইংরেজি তারিখ চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সাংবাদিক এম জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন, একই উপজেলার ১১ নং জুঁইদন্ডি ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড খুরুসকুলের আব্দুল মান্নান প্রকাশ কানা মান্নান নামের এক ব্যক্তি। মামলা নম্বর ১০৪/২০২২। মামলাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি চট্টগ্রামকে নির্দেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ। মোহাম্মদ শরীফ বর্তমানে অন্যত্র বদলি। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের মুঠোফোনে (০১৮১৬৪৪১১১৫) জানতে চাইলে তিনি জানান, আব্দুল মান্নান প্রকাশ কানা মান্নান নামের আনোয়ারার পেশাদার এক ইয়াবা কারবারিকে বাঁচাতে চট্টগ্রামের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যেতি চাকমা ও সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফের লুকোচুরি খেলায় তিনি (জসিম উদ্দিন) ব্যথিত হয়েছেন, মর্মাহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন মুকুল জ্যেতি চাকমা ও মোহাম্মদ শরীফের প্ররোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য গোপন করে আদালতে একতরফা একটি গতানুগতিক প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। দূর্নীতিবাজ এই তিন অসৎ কর্মকর্তার এহেন কর্মকান্ডে তালিকাভুক্ত মাদক কারবারিরা আরও উৎসাহিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সাংবাদিক জসিম উদ্দিন।

চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের কয়েকটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কর্যালয় সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী জসিম উদ্দিন (সাংবাদিক) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে পৃথক দুটি অভিযোগ করেন। তাতে তিনি অনুলিপির কপি দেন, চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির, সিআইডির অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালক, পুলিশ কমিশনার চট্টগ্রাম ও পুলিশ সুপার চট্টগ্রামকে। সব অভিযোগে তিনি (জসিম উদ্দিন) দুই কর্মকর্তা- মুকুল জ্যেতি চাকমা ও মোহাম্মদ শরীফের শাস্তির দাবি করেছেন। এসব বিষয়ে সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিবেদনটি সিআইডি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমার মুঠোফোনে (০১৪০৪০৭২৩২৬) জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ কেটে দেন। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম আদালত পাড়ার কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাদক কারবারিকে যাদের পাকড়াও করার কথা উল্টো সেই মাদক কারবারিদের সঙ্গেই দহরমমহরম সম্পর্ক সৃষ্টি করছেন অসাধু কিছু পুলিশ ও ডিএনসি কর্মকর্তারা। ঐসব কর্মকর্তাদের দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তি ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn