মঙ্গলবার - ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ডাক্তার হালিদা হানুম আখতারকে ওয়ার্ল্ড জার্নালিস্টস ক্লাবের স্বাধীনতা সম্মাননা- ২০২৫ এ মনোনীত

ডাক্তার হালিদা হানুম আখতারকে ওয়ার্ল্ড জার্নালিস্টস ক্লাবের স্বাধীনতা সম্মাননা- ২০২৫ এ মনোনীত

 

 

মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত,নিপীড়িত, ধর্ষিতা বীরাঙ্গনাদের সেবাদানে এবং জনস্বাস্থ্যে বিশেষ অবদানের জন্য ডাক্তার হালিদা হানুম আখতারকে ওয়ার্ল্ড জার্নালিস্টস ক্লাব এর স্বাধীনতা সম্মাননা- ২০২৫ এ মনোনীত করা হয়েছে।খবর বাপসনিউজ ।ডাক্তার হালিদা হানুম আখতার। তিনি বাংলা একাডেমী ফলোশীপ পুরস্কার ও বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ লাভ করেন। স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পর আমেরিকার জনস হপকিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য মাস্টার্স ও ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনস্ত প্রজনন স্বাস্থ্য গবেষনা ইনস্টিটিউট’র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ছিলেন। দেশের বৃহত্তম পরিবার পরিকল্পনা সংস্থার মহাপরিচালক ছিলেন। এর আগে ও পরে এই দপ্তরে কোন নারী এতোবড় দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পায়নি। দেশে বিদেশে ডাক্তার
হালিদা হানুম আখতার ডাক্তারী বিদ্যায় বহু ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এই মহিয়সী রমনী ১৯৭১ সালে তৎকালীন সরকারের অধীনে আমেরিকায় মেডিসিন সাইন্সে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে গমন করেন। সেসময়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমদের আহবানে সাড়া দিয়ে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে এসে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নিপীড়িত,নির্যাতিত, ধর্ষিত বীরাঙ্গনাদের সেবাদানে ব্রত হন। ধানমন্ডির ৭ নম্বর রোডে ২৬ বি ( বর্তমান ঠিকানা) “সাদাবাহার” এর সেবাসদন হাসপাতালে এসব নির্যাতিত নারীদের সেবাদান করেন। টানা চার মাস বীরাঙ্গনাদের কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাদের করুণ ও ভীবিষিকাময় কাহিনীর নিরব স্বাক্ষী তিনি। তাদের তৎকালীন জীবনচারিত ও অজনা কথা নিয়ে তিনি লিখেছেন,সম্ভ্রম যোদ্ধা: সেবাসদন ও একজন ডাক্তার হালিদা” নামক ঐতিহাসিক বইটি। বইটির প্রতিটি পরতে পরতে উঠে এসেছে বীরাঙ্গনাদের অকথিত কাহন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn