বৃহস্পতিবার - ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ায় পূর্বের শত্রুতার জেরে চাচা শ্বশুর এবং শ্যালকের মারপিঠে আহত জামাই, থানায় অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ায় পূর্বের শত্রুতার জেরে চাচা শ্বশুর এবং শ্যালকের মারপিঠে আহত জামাই, থানায় অভিযোগ

 

ঈদের দাওয়াতে গিয়ে শ্বশুর এবং শ্যালকের মারপিঠের শিকার হয়ে গুত্বর আহত হয়েছেন জামাই।
ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার ২১ নং– ঢোলারহাট ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে। জানা যায়, ঈদের পরে দিন শশুরে দাওয়াতে শশুর বাড়িতে যায় জামাই মামুন আর শশুর বাড়ি গিয়ে চাচা শ্বশুর এবং শ্যালকের মারধরের শিকার একই ইউনিয়নের নওপাড়া এলাকার মহির উদ্দিন এর ছেলে ভাতিজ জামাই মামুন(৩২)। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দাওয়াতে শ্বশুর বাড়ি যায় মামুন, শ্বশুর বাড়ি থেকে পাশের বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেড়াতে যায়, জামাই মামুন। আর সেইখানে জামাই মামুনকে দেখতে পেয়ে পূর্বের শত্রুতার জেরে চাচা শ্বশুর দবিরুল ইসলাম (৫৪), শ্যালক রুবেল ইসলাম (৩২), জসিম উদ্দিন(২৮) ও চাঁচি শাশুড়ী মিলে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে দেন। জামাই মামুনকে মারপিট এর কথা শুনে তার শ্বশুর হামিদুল ইসলাম ঘটনা স্থলে গেলে তাকেও মারপিট করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মামুনকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।
হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে গতকাল রাতে রুহিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী জামাই মামুন ইসলাম। ভুক্তভোগী জামাই মামুনের স্ত্রী সবুরা বেগম বলেন, আমি ও বাবার বাড়িতে ছিলাম, আমার স্বামী বাসা থেকে বের হলো চা খাওয়ার জন্য বাসা থেকে দোকানের উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে শুনি আমার চাচা ও চাচাতো ভাইরা আমার স্বামীকে অনেক মারপিট করতেছে, আর মারপিট এর কথা শুনে দৌড়ায় গেলে দেখি আমার স্বামীকে চোরের মত মারপিট করে মাটিতে ফেলাই রাখছে তারা। তার কি দোষ আর কি কারনে মারলো তা আমাদের কারোর জানা নেই। আমি আমার স্বামীর সুষ্ঠ বিচার চাই।
জামাই মামুন এর আপন শশুর হামিদুল ইসলাম বলেন, আমার জামাইকে আমার ছোট ভাই দবিরুল ও তার দুই ছেলে মিলে মারধর করার কথা শুনে দৌড়াই গেলে ও তাদের কে আটকা আটকি করলে আমাকে ও অনেক মারপিট করে তারা সবাই মিলে। এই বিচার চাই।
নাম বলতে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, আসলে দবিরুল ইসলাম সহ তার পরিবারে কেউ ভালো না, যে জের ধরে মারপিট করছে সেটা তো প্রায় দেড় বছর আগে মিমাংসা হয়ে গেছে। তা ছাড়া মারলে মারবে তার আপন শশুর কিন্তু তারা এই ভাবে চোরের মত মারা কে? এটা বড় নিন্দীয় কাজ। ঐ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুর রশিদ এবং হুসেইন আলী বলেন, মামুন এর চাচা শ্বশুর অযাচিত ভাবে মামুনের সাথে সংঘাত সৃষ্টি করে। তারা আরও বলেন যেখানে তার শ্বশুর বাড়ির সাথে কোন আর ঝামেলা নেই। আসলেই মামুন এর চাচা শ্বশুর দবিরুল ইসলাম এবং তার ছেলেগুলো শান্ত প্রকৃতির মানুষ নয়। রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম নাজমুল সাংবাদিকদেরকে বলেন, এ বিষয় ভুক্তভোগী মামুন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn