বৃহস্পতিবার - ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঠাকুরগাঁওয়ে মোমবাতির আলোয় এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা

ঠাকুরগাঁওয়ে মোমবাতির আলোয় এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা

ঠাকুরগাঁওয়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে মোমবাতির আলো জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সারাদেশের মতো ঠাকুরগাঁওয়েও একযোগে পরীক্ষা শুরু হলেও, সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি ও বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগ। সকাল ৯টার দিকেই শুরু হয় টানা বৃষ্টি, যা চলে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় অনেক পরীক্ষার্থীকে বৃষ্টিতে ভিজে পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যন্ত যেতে দেখা যায়। কেউ ভিজে গিয়ে কেন্দ্রে ঢুকেছে, কেউ আবার বই-খাতা ও অ্যাডমিট কার্ড বাঁচিয়ে কষ্ট করে কেন্দ্রে পৌঁছেছে। ঠাকুরগাঁওয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মোট ২২ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে এসএসসি (সাধারণ) শাখায় ১৭ হাজার ৯৭৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ৮০৮ জন এবং কারিগরি শাখায় ১ হাজার ৯৩৯ জন শিক্ষার্থী। ঠাকুরগাঁও জেলার মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ৪০টি। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার জন্য ২৪টি, মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য ৭টি এবং কারিগরি শাখার জন্য ৯টি কেন্দ্র নির্ধারিত হয়েছে। বিশেষ করে যেসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ ছিল না বা বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে, সেখানে শিক্ষার্থীদের মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি জানায়, বাইরে ঝড়-বৃষ্টি, আবার বিদ্যুৎও ছিল না। আমাদের রুমে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। আলো কম থাকায় প্রশ্ন পড়া ও উত্তর লেখা বেশ কষ্টকর ছিল। আরেক পরীক্ষার্থী জুবায়ের জানায়, ভিজে কেন্দ্রে আসতে হয়েছে। ঠান্ডায় হাত কাঁপছিল, তারপরও সাহস করে পরীক্ষা দিয়েছি। মোমবাতির আলোয় লেখাও ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না। আরেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত বড় পরীক্ষা, অথচ বিদ্যুতের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে—এটা খুবই দুঃখজনক।
ঠাকুরগাঁওয়ের সালান্দর মাদ্রাসা শিক্ষক নুর আলম জানান, বৃষ্টিতে শিক্ষার্থীরা কিছুটা মানসিক চাপে ছিল। তবুও তারা সাহস করে পরীক্ষা দিয়েছে। শিক্ষকরা তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা অফিসার শাহিন আখতার বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সমস্যাগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn