রবিবার - ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ঠাকুরগাঁওয়ে পলিথিন মুক্ত জমে উঠেছে কৃষকের বাজার 

ঠাকুরগাঁওয়ে পলিথিন মুক্ত জমে উঠেছে কৃষকের বাজার

 

ঠাকুরগাঁওয়ে জনমনে স্বস্তি ফেরাতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে চালু হওয়া কৃষকেরা বাজার ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে। এই বাজারে যেখানে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিক্রি করতে পারছে। এতে একদিকে যেমন খুশি হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা অপরদিকে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
৩০ নভেম্বর শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বাজারে নিজেদের খেতের উৎপাদিত লাউ, শিম, মূলা, বরবটি, আলু, কাঁচামরিচ সহ অন্যান্য কাচা সবজির পসরা নিয়ে বসেছেন কৃষকরা। তাতে ক্রেতাদেরও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বাজারের চেয়ে প্রতিটি পণ্যে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে পেয়ে খুশি ক্রেতারা। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে সাধারণ পাঠাগার মাঠ চত্বরেই এই কৃষকের বাজার নামে অস্থায়ী এ বাজার চালু করা হয়। সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে এ বাজার। এই বাজারে পলিথিন মুক্ত কেনাকাটা করতে ও ক্রেতা বিক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে এ বাজারের আরেকটি বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে,যেখানে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ভুট্টার আঁশে তৈরি বিশেষ ব্যাগ ও পাটের ব্যাগ। এছাড়াও শুধুমাত্র কাচা সবজিই নয়, এ বাজারে পাওয়া যায় মাছ মাংস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যই। বাজার করতে আসা ক্রেতা ইসলাম জানান, এই বাজারে আমি প্রতিটি জিনিস স্থানীয় অন্য বাজার গুলোর তুলনায় অনেক কমেই কিনেছি। কোনটাতে তো কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কম পেয়েছি। সহিদা খাতুন ও আসমা বেগম নামের ক্রেতা জানান, ব্রয়লার মুরগির মাংস কিনেছি এবং স্থানীয় বাজারের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা কম পেয়েছি। গরুর মাংস ৬৪০ টাকা কেজি পেয়েছি,অথচ বাজারে গেলে ৭শ থেকে সাড়ে ৭শ টাকার কম নেই। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, কৃষকের বাজার মূলত হলিডে মার্কেটের মত। ছুটির দিনে সুলভ মূল্যে ক্রেতাদের ক্রয় করা এবং কৃষক সরাসরি নিজেই বিক্রেতা হয়ে ন্যায্য মূল্য পাওয়ার উদ্দেশ্যেই এই বাজারটি চালু করা। ভোক্তারা চাইলে আরও বড় পরিসরে এ বাজারকে আমরা করার কথা ভাবতে পারি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn