রবিবার - ২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৩শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণ-ছিনতাই ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে রাজপথে শিক্ষার্থীরা 

ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণ-ছিনতাই ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে রাজপথে শিক্ষার্থীরা

 

দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষার্থীরা। ২৪ ফেব্রুয়ারি
সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল বড় মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি শহরের চৌরাস্তা প্রদক্ষিণ করে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ মিছিল করেন তারা। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় ঘণ্টাব্যাপী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। সড়কে অবস্থান নেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।
এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা দেন। সেই সাথে কীভাবে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যায় এবং সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি অশুভ শক্তি প্রতিনিয়ত নানা অপরাধ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা বেড়ে গেছে। পাশাপাশি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও খুনের মতো অপরাধেরও বৃদ্ধি ঘটেছে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করছে। সুজানা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, একটি সুন্দর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আমরা চব্বিশের আন্দোলন করেছি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তারা বিভিন্ন স্থানে খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ ঘটিয়ে ছাত্র-জনতার সরকারকে বিপাকে ফেলতে চাইছে। আজ থেকে এসব দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আমরাও সোচ্চার থাকব। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ২৪-এর অভ্যুত্থানে নারীরা সামনের সারিতে থেকে ভূমিকা রাখলেও, অভ্যুত্থান পরবর্তী তারা ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়। রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অনতিবিলম্বে ধর্ষণকারীসহ সকল অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি না করলে সামনের দিনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে আমাদের।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn