সোমবার - ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য ভবন হবে: চসিক মেয়র

ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনার সময়  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের  মেয়র এম রেজাউল করিম  বলেছেন  নগরের বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকা মানুষের জন্য বহুতল ভবন গড়তে ইএনডিপিকে ১৮ গণ্ডা ভূমি দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা চট্টগ্রামে দ্রুত বাড়ছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুকন্যার নেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের মতো বড় প্রকল্প নেওয়া হলে এ সমস্যার সমাধান হবে। আর বর্তমানে অবৈধভাবে পাহাড় দখল করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শিগগির চসিক ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে কঠোর অভিযান পরিচালনায় সম্মত হয়েছে। মোখা দেখতে সৈকতে গিয়ে ২ কপোত-কপোতী নেট দুনিয়ায় ভাইরাল

রোববার (১৪ মে) সকালে দামপাড়ায় চসিক বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ ভবনের নিচ তলায় খোলা কন্ট্রোল রুম থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনার সময় মেয়র এসব কথা বলেন। এ সময় চসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন।

 

মেয়র বলেন, আমরা পাঁচ হাজার মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার জন্য শুকনো খাবার, ওষুধ, মোমবাতিসহ বিভিন্ন জরুরি পণ্য সংগ্রহে রেখেছি। লালখানবাজার, পূর্ব ষোলশহর ও দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে ত্রাণ পৌঁছে গেছে।

অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ৫৫টি মেডিক্যাল টিম জরুরি সেবা দিতে প্রস্তুত। দুর্যোগ আঘাত হানলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে প্রস্তুত আছে চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ।

আমরা ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখলেও অনেকে ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহ হবে না ভেবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বের করে দিলেও আবার সেখানে ফেরত যাচ্ছেন। উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আর পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাস করা জনগণের প্রতি আহবান আপনারা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান। আপনাদের জন্য খাবার, স্বাস্থ্যসেবা থেকে সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সভার পর মেয়র ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডে সমুদ্রসৈকতসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, শনিবার ভোর থেকে ৭টি যানবাহনে করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ত্যাগ করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছি। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে অনেকের বাসায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, আমরা মাইকিং করে গতকাল সমুদ্রসৈকত থেকে লোকদের সরিয়ে দিলেও অনেকে কেবল কৌতূহলের বশে আবারও ফেরত আসছেন। অনেকে আবার ঘূর্ণিঝড়কে অবহেলা করে বারবার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ফেরত যাচ্ছেন। জনসচেতনতা না থাকলে কেবল সরকারি পদক্ষেপে ক্ষয়-ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা সম্ভব নয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, তছলিমা বেগম নুরজাহান, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ চসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা প্রধান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn