
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে ৩ হাজার বস্তা ইউরিয়া সার খোলা আকাশের নিচে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বাফার সার গোডাউনের সামনে খোলা আকাশের নিচে আমদানি করা ৩ হাজার বস্তা ইউরিয়া সার পড়ে আছে। খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে এসব সারে জমাট বেধেঁ কৃষিক্ষেতে ব্যবহারের অনুপোযী হচ্ছে। আমদানি করা এসব সার দীর্ঘ দিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। কর্তৃপক্ষের দাবি গোডাউনে জায়গা না থাকায় গোডাউন চত্তরে এসব সার স্তুপ করে রাখা হয়েছে । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , কোটচাঁদপুর রোডে অবস্থিত বাফার সার গোডাউনের সামনে কয়েক হাজার বস্তা ইউরিয়া সার খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে । এখান থেকে ট্রাকে ভরে প্রতিদিন ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গার জেলার তালিকাভুক্ত ডিলারদের কাছে সার পাঠানো হচ্ছে । প্রতি নিয়ত ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক ইউরিয়া সার দুই জেলার ডিলারদের কাছে যায় এখান থেকেই। প্রায় এক যুগ নিয়মিত খোলা আকাশের নিচে ইউরিয়া সার পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হলেও গোডাউন সম্প্রসারন বা নতুন গোডাউন করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ । কালীগঞ্জ বাফার গোডাউনের তথ্য থেকে জানা গেছে , কালীগঞ্জ বাফার সার গোডাউনে ৬ হাজার বস্তা ইউরিয়া সারের ধারন ক্ষমতা আছে । এছাড়া শহরের আরেকটি অস্থায়ী গোডাউনে ২ হাজার বস্তা সার রাখা হয়। ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার তালিকাভুক্ত ১২৬ জন ডিলার নিয়মিত ইউরিয়া সার নিয়ে যান এখান থেকে । নিয়মিত সারের ভাড়ামারা সুমন হোসেন নামের এক ট্রাক চালক জানান , আমি নিয়মিত এখান থেকে একজন ডিলারের সার নিয়ে যায় । গোডাউনের সামনে সারা বছরই সার পড়ে থাকতে দেখি। এতদিনেও নতুন গোডাউন হলো না কিভাবে বুঝলাম না । কালীগঞ্জের মাজেদ শেখ নামের স্থানীয় এক কৃষক জানান , খোলা জায়গায় ইউরিয়া রাখলে সার এমনিতেই জমাট বাঁধে । এসব সার জমিতে ব্যবহার করলে লাভ কমই হবে । আবার ক্ষতিও হতে পারে ।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ বাফার সার গোডাউনের সহকারী ব্যবস্থাপক (ঝিনাইদহ – চুয়াডাঙ্গা) আসাদুজ্জামান শাওন জানান , এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি । আশা করছি দ্রুততম সময়ে গোডাউন সমস্যার সমাধান হবে ।