
জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ না করেই এনসিপির সংগঠক সামেয় সিকদার
৫ ই আগস্টের আগে কোটা আন্দোলন ও জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণ না করে বর্তমানে এনসিপির সংগঠক হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠছে একজন স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
তার ব্যাক্তিগত ফেইসবুক আইডি স্ক্রল করে দেখা গেছে ৫ আগস্টের আগে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয় এই সায়েম সিকদার।
এছাড়া কোটা আন্দোলনে যোগ না দেওয়ার জন্যে ছাত্রদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করেন তিনি,এই বিষয়ে এক বা একাধিক স্ক্রিনশট সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বাস্তবে একজন স্কুল শিক্ষক হলেও তার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে তার ভাই মামুন সিকদারের বাহিনী ।
বর্তমানে সায়েম সিকদারের এনসিপি সংগঠক পদকে পুঁজি করে তার ভাই মামুন সিকদার গংরা নানা অপকর্মের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ১২ মে সকালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জন্যে আসা পানির ট্যাংক বোঝাই করা সাতটি ট্রাক হ্নীলা হোয়াকিয়া পাড়া রাস্তার মাথায় পৌঁছালে আটকেদিয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা করে আসছিল মামুন সিকদার,জামাল হোছাইন জোনায়েদ, মুহাম্মদ ইমরান,রফিক গংরা।
পরে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে আটকে রাখা পানির ট্যান্ক বোঝাই ট্রাক গুলো উদ্ধার করে চেয়ারম্যানের নির্দেশে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদে পৌছে দেয় স্থানীয় পশ্চিম সিকদার পাড়াএলাকার আজিজুল বশির মুহাম্মদ,জিয়াউল বশির ইলহাম,মুহাম্মদ নুর,শফিকুল ইসলাম বাপ্পি সহ আরও কয়েকজন যুবক।
বিষয়টি স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী সত্য বলে দাবী করে এই প্রতিবেদক কে নিশ্চিত করেছেন।
এই ঘটনার রেশ ধরে একই দিন সন্ধ্যায় ৫.৩০ এর দিকে জামাল হোসাইন এর নেতৃত্বে স্থানীয় ছৈয়দ আহমদের একটা বাউন্ডারির দখল করার উদ্দেশ্য তালা জুলিয়া দেয়,পরে সেটি স্থানীয় জনতার উপস্থিতিতে ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এই বিষয়ে স্থানীয় জামাল হোসাইন পূর্বের ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়ে রাত ১০.১০ মিনিটে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে স্থানীয় আজিজুল বশির মুহাম্মদ সহ তার চাচাতো ভাইদের হত্যার হুমকি দেয়।
তার ঠিক দশ থেকে পনেরো মিনিট পরে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলির আওয়াজ শুনতে পাই বলে জানান তিনি।
পরে সেখানে পুলিশ সহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গুলির শব্দ শুনার পূর্বে তাদের বাহিনীর জোনায়েদ প্রকাশ সোনামণি তার ব্যাক্তিগত ফেইসবুক পোস্টে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেন(আমি রেডি আছি) বলে। একটি পরিকল্পিত নাটক সাজিয়ে,মাস্টার সায়েয় সিকদারকে পুঁজি করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে।
এই মামলায় বিবাদীগণ আদালতের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি করেছেন।###