সোমবার - ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জীবনযাত্রার ব্যস্ততার মধ্যে রমজানকে অর্থবহ করে তোলা

জীবনযাত্রার ব্যস্ততার মধ্যে রমজানকে অর্থবহ করে তোলা

এম এ সবুর

“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””” ””

আধুনিক জীবনে ব্যস্ততা আমাদের নিত্যসঙ্গী। অফিস, ব্যবসা, পড়াশোনা ও পারিবারিক দায়িত্ব পালনের মাঝে রমজানের সঠিক আমল ও ইবাদত করা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে, কুরআন ও হাদিসের নির্দেশনা মেনে পরিকল্পিতভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করলে রমজানকে সত্যিকার অর্থে বরকতময় করা সম্ভব।

রমজান: ব্যস্ত জীবনে বরকতের মাস

আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।” (সূরা আল-বাকারা: ১৮৩)

এই মাস আমাদের শুধু না খেয়ে থাকার জন্য নয়, বরং আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাস। তাই ব্যস্ততার মাঝেও ইবাদতের জন্য সময় বের করা জরুরি।

রমজানে সময় ব্যবস্থাপনার ইসলামিক কৌশল

১. প্রতিদিনের রুটিন ঠিক করা

রাসূল (সা.) বলেন, “আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় কাজ হলো, যা নিয়মিত করা হয়, যদিও তা স্বল্প হয়।” (বুখারি, হাদিস: ৬৪৩৪)

প্রতিদিনের রুটিনে নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত ও দোয়া অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। অফিসের ব্যস্ততার মাঝেও নামাজের সময় নির্ধারিত রাখলে বরকত বাড়বে।

২. সহজ আমল করা

কর্মস্থলে বা যেকোনো স্থানে থেকে সহজে যিকির করা যেতে পারে: “সুবহানাল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ”, “আল্লাহু আকবার”

যাতায়াতের সময় কুরআন তিলাওয়াত বা ইসলামিক লেকচার শোনা যেতে পারে।

৩. অল্প কিন্তু কার্যকর ইবাদত

রাসূল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি বিশ্বাস ও প্রত্যাশার সাথে রমজানের রাতে নামাজ পড়ে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (বুখারি, হাদিস: ৩৭)

তাই ব্যস্ততা থাকলেও তারাবিহ বা তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য কিছু সময় বের করা উচিত।

উপসংহার

রমজান মানেই ব্যস্ততা থেকে বিরতি নেওয়া নয়, বরং ব্যস্ততার মাঝেই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সময় বের করা। পরিকল্পিত সময় ব্যবস্থাপনা ও নিয়তের বিশুদ্ধতা থাকলে রমজান আমাদের জীবনে সত্যিকারের বরকত নিয়ে আসবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn