
জিয়াউর রহমানই জাতির পিতাকে হত্যা কান্ডের প্রধান কুশীলব : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান কুশীলব হচ্ছে জিয়াউর রহমান। শপথ অনুযায়ী জিয়াউর রহমানের দায়িত্ব ছিল তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা। আর অবহিত না করার অর্থ হচ্ছে সে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। সুতরাং জিয়াউর রহমানই জাতির পিতাকে হত্যা কান্ডের প্রধান কুশীলব।
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এজিইডি ভবন মিলনায়তনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে কিন্তু কুশীলবদের বিচার হয়নি। ইতিহাসের স্বার্থে ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে জানতে পারে কারা বাঙালির মহানায়ক, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাঁর হত্যার প্রধান কুশীলব কারা। ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী বলেছেন একটি কমিশনের মাধ্যমে কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আরো বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হয়ে হত্যা করেছিল। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হয়েছে। তাই তারা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। আমেরিকান সংস্থা আইআরআই এর জরিপে এখনও বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে সমর্থন করে। এতো অপপ্রচার, এতো লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে, সপ্তাহে কয়েক দিন বিদেশিদের পদলেহন করার পরও শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা দেখে তাদের মন খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির সাথে কোন বিদেশি শক্তি এখন আর নাই। তারা বুঝে গেছে শেখ হাসিনাকে সড়ানো সম্ভব নয়। এখন তাদের আন্দোলনের বেলুন ফুটে গেছে। বিদেশিরা তাদের আন্দোলনে সমর্থন জানায়নি। সে জন্য আন্দোলনের বেলুন তারা ফুলাতে পারছে না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আর রহমান বিএনপির নেতা কর্মীদের নির্বাচন করতে দেয় না, শপথ গ্রহণ করতে দেয় না। এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করতে দেয় না। এসময় মন্ত্রী বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারা কি তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হবেন? আগামী নির্বাচনের পর বুঝতে পারবে এই লাঠিয়াল বাহিনী ছোট হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও তাদের অনেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
এসময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম এর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যাপক মঈনুদ্দিন, আবুল কালাম আজাদসহ প্রমূখ বক্তৃতা করেন।