সোমবার - ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় তাঁতি সমিতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি পক্ষ: সংবাদ সম্মেলনে দাবি

জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন বলেছেন, সাধারণ তাঁতিদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা ও জাতীয় তাঁতি সমিতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি পক্ষ। তারা নিজেদের স্বার্থে সাধারণ তাঁতিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সরকার এবং তাঁতি সমিতির বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত।
গতকাল ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের নতুন শর্ত মেনে সাধারণ তাঁতিরা সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় সুতা পাচ্ছেন এবং সবাই লাভবান হচ্ছেন। একটি চক্রান্তকারী গ্রুপ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নানা প্রকার অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা মূলত কোন তাঁতি নয়। এজন্য সরকারের কাছে দাবি তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সরকারের নতুন শর্তগুলো হলো আমদানিকারকরা নিজেদের এলাকার ব্যাংকে এলসি খুলবে এবং তাঁতি বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত রেখে পূর্ব ঘোষিত সময়ে তাঁতিদেরকে সুতা বিতরণ করা হবে। কিন্তু অসাধু চক্রটি এ নিয়ম মেনে সুতা নিতে রাজি নয়। তারা সুবিধামত সুযোগ চাচ্ছে।
তাঁতি সমিতির সভাপতি আরও বলেন, গত ৪ আগস্ট মো. ফজলুল হক প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি একজন সাবেক ব্যাংক কর্মচারী। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে তিনি সুতার ব্যবসা করেন। তিনি তাঁতি হলেন কিভাবে বা তার তাঁতে কি পণ্য উৎপাদন হয় এমন প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
এসময় অভিযোগ করে বলা হয়, ফজলুল হক অনেক দিন ধরে সুতার ব্যবসা করে আসছেন। পাবনা জেলার দোগাছিতে ২০১৯ সালে দোগাছি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড প্রাথমিক তাঁতি সমিতির নামে সুতা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ায় তার নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা চলমান। এই মামলাতে বর্ণিত ব্যক্তি সম্পৃক্ত থাকার দায়ে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবনা অফিস হতে ফজলুল হককে তলব করেন এবং তিনি হাজিরা দেন।
এ গ্রুপের অন্যতম সদস্য মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি জাতীয় তাঁতি সমিতির সাবেক সভাপতি। তিনি গত ২৭ মে ২০০৯ থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় তাঁতি সমিতির কমিটিতে ছিলেন। তার আমলে ৫১টি প্রাথমিক তাঁতি সমিতি আমদানি সুপারিশ পায়। কিন্তু বাবুল সাহেবের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের সুতা ব্যবসায়ী ফজলুল হক এবং হাজী আ. ছাত্তারের যোগসাজসে তারা আমদানিকৃত মালামাল তাঁতিদের মাঝে বিতরণ না করে টান বাজারে বিক্রি করেন। নিজেরা আর্থিকভাবে কোটি টাকা লাভবান হন। এ বিষয়ে অনেক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতির সাধারণ আবুল কালাম আজম, পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, লুৎফর রহমান হাবিব, আব্দুল গনি মোল্লাহ, আলী হোসেন, হযরত আলী আকন্দ প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn