রবিবার - ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে প্রবাসীর সম্পত্তি রক্ষায় পুলিশ সুপার বরাবর দায়ের করা অভিযোগের প্রতিবেদন দাখিল

জগন্নাথপুরে প্রবাসীর সম্পত্তি রক্ষায় পুলিশ সুপার বরাবর দায়ের করা অভিযোগের প্রতিবেদন দাখিল

 

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আহমদাবাদ (কুবাজপুর) গ্রামে শাহ সুবা চৌধুরী, শাহ শাহাব চৌধুরী ও ইদুদ্দোজা চৌধুরী গংদের ভূমি ও ফিশারী দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করে
একই গ্রামের মৃত শাহ নেওয়াজ চৌধুরীর স্ত্রী সুহেনা চৌধুরী,ইয়াওর মিয়ার পুত্র খলিল মিয়া চৌধুরী, লুবন মিয়া চৌধুরী, মৃত সুনু মিয়ার পুত্র ছাতির মিয়া চৌধুরী, ইয়াওর মিয়া চৌধুরী, মৃত ছাদির উল্লাহ পুত্র রিজু মিয়া বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দায়ের করেন সুবা মিয়া চৌধুরী গংদের কেয়ারটেকার আফাজ চৌধুরী। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের স্বারক নং- অপরাধ / ২৪/২৪৯৬/ভি,তারিখ ১২/০৯/২০২৪খ্রি: মূলে তদন্তের জন্য জগন্নাথপুর থানায় প্রেরন করা হলে উক্ত অভিযোগের তদন্ত করে পুলিশ সুপার বরাবর সদয় অবগতির জন্য প্রতিবেদন প্রেরন করেন অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এস আই মোঃ সজীব মিয়া। তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদনে
উল্লেখ করেন, আমি অফিসার ইনচার্জ জগন্নাথপুর থানা কর্তৃক উক্ত অভিযোগের তদন্ত ভারপ্রাপ্ত হইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের বাদি, এলাকার অন্যান্য লোকজন এবং সাক্ষীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে জানতে পারি, দ্বিতীয় পক্ষ মৃত শাহ নেওয়াজ চৌধুরীর স্ত্রী সুহেনা চৌধুরী। শাহ নেওয়াজ চৌধুরীরা পাঁচ ভাই ও তিন বোন। ভাইয়েরা যথাক্রমে সুবা চৌধুরী, সোহাব চৌধুরী শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, শাহ কুতুব চৌধুরী ও ইদুদ্দোজা চৌধুরী। এবং বোনেরা হল ফাতেমা চৌধুরী, ফেরদৌসী চৌধুরী, হালিমা বেগম চৌধুরী তাদের মধ্যে শাহ নেওয়াজ চৌধুরী ও কুতুব চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। তাদের বেশিরভাগ ভাই বোন লন্ডন প্রবাসী। দেশে একমাত্র শাহ নেওয়াজ চৌধুরী তাহার দ্বিতীয় স্ত্রী অত্র মামলার ১ নং বিবাদী সুহানা চৌধুরী কে নিয়ে বসবাস করতেন। শাহ নেওয়াজ চৌধুরী তার পৈত্রিক সকল সম্পত্তি নিজেই দেখাশোনা করতেন এবং অন্যদের দিয়ে কাজ করাতে। তিনি তার পিতা মৃত নুর মিয়া চৌধুরীর নিজ হাতে গড়া বাড়িতে স্ত্রী সুহানা চৌধুরীকে নিয়ে বসবাস করতেন।
শাহ নেওয়াজ চৌধুরীর মৃত্যুর পর পুরাত বাড়ীটি ভেঙ্গে নতুন বাড়ী নির্মান করার জন্য মৃত শাহ নেওয়াজ চৌধুরীর স্ত্রী সুহানা চৌধুরীসহ সকলের পরামর্শ ক্রমে ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে আলাপ আলোচনা করে পুরাতন বিল্ডিং এক্সলেভেটর দিয়ে ভাঙ্গা হয়।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করেন ইদুদ্দোজা চৌধুরী
সহ তাহার ভাইরা লন্ডন থাকায় তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ও নিজেদের কিছু সম্পত্তি বিবাদী খলিল মিয়া, ছাতির মিয়া, লুবন মিয়া ,রিজু মিয়া ইয়াওর মিয়ারা দখল করার প্রায়তারা করিতেছে। তার মধ্যে খলিল মিয়া চৌধুরী বিভিন্ন অপকৌশলে দুই তিনটি ফিশারিজ এবং জলমহাল নিজে দখল করিয়া নেয়। একই সাথে ছাতির মিয়া জমির প্রকৃত মালিক লন্ডন আছে বলিয়া জানা সত্ত্বেও তাহাদের অনুপস্থিতিতে কয়েকটি ফিশারী নিজ দখলভুক্ত করিয়া রাখে। বিবাদী খলিল মিয়া প্রবাসীদের ইজমালি ফিসারী জোরপূর্বক ভাবে দখল করিয়া রাখে। ১ নং বিবাদী ও অন্যান্য বিবাদীরা আত্মীয়-স্বজন হওয়া তারা একে অপরের সহযোগিতায় লন্ডন প্রবাসীদের হেফাজতে থাকা পুকুর, ফিশারী ও সহায় সম্পত্তি নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রবাসীরা তাদের পুকুর, ফিসারি ও কিছু ধানী জমি দেখাশোনার জন্য নূর হেকিম, দিলফর মিয়া, রাহিম চৌধুরী সহ আরো ৭/৮ জন লোক নিয়োগ করে। কিন্তু বিবাদীপক্ষ তাদেরকে এখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি দামকী প্রদর্শন করে এবং পুকুরে থাকা মাছ গুলো নিয়ে যাবে বলিয়া হুমকি ধামকী প্রদর্শন করে।
ইদুদ্দোজা চৌধুরী গংদের কেয়ারটেকার আফাজ চৌধুরী জানান, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিয়া পুলিশ সুপার মহোদয়ের শরণাপন্ন হয়েছি। তদন্তে আমার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বতর্মানে ও সুহানা চৌধুরীর লোক খলিল মিয়া চৌধুরী দলবল নিয়ে প্রায় সময় খামার বাড়িতে হামলা করে। এই নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংঘর্ষ সৃষ্টি হতে পারে আমি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn