সোমবার - ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছেলের রক্তমাখা শার্ট হাতে নিয়ে বিচারপ্রার্থী মা

ছেলের রক্তমাখা শার্ট হাতে নিয়ে বিচারপ্রার্থী মা

 

প্রতিবন্ধীকে মারধর করে করেছে রক্তাক্ত। এর প্রতিবাদ করায় মারধর করা হয় ওই প্রতিবন্ধীর বাবাকেও। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার করেছে মামলা। তবে এখনও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি। এরপরও থামেনি তাদের প্রতিবাদ। সন্তানের রক্তমাখা শার্ট হাতে নিয়ে বিচার প্রার্থী হয়েছেন মা।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের লালুয়ারটুক গ্রামের। রোববার গুরুতর আহত সন্তান খলিল মিয়ার রক্তমাখা জামা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার মা আবেদা খাতুন।

খলিলের মা আবেদা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলেকে ওরা কুপিয়েছে। সে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমি আমার সন্তানের রক্তমাখা কাপড় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।’
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও হাওরবেষ্টিত গোয়ালনগর ইউনিয়নের মানুষের চিকিৎসার যাতায়াতের জন্য একটি স্পিডবোট অ্যাম্বুলেন্স দেয় সরকার। গত ১৬ মার্চ সেই স্পিডবোটে উঠেছিল প্রতিবন্ধী শিশু সানি। এর জেরে তাকে মারধর করে বোটের চালক শাজাহান মিয়া। নিজের প্রতিবন্ধী সন্তানকে মারধরের বিষয়টি শাজাহানকে জিজ্ঞেস করেন খলিল মিয়া। এতেই ক্ষিপ্ত হন শাজাহান। কয়েকজন মিলে খলিলকে কুপিয়ে জখম করে তারা। খলিল বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী খলিল মিয়ার ভাই মিলন মিয়া গত ১৮ মার্চ নাসিরনগর থানায় একটি মামলা করেন। যেখানে আসামি করা হয় চারজনকে। তারা হলেন, মো. শাজাহান মিয়া (৪৮), মো.ফারুক মিয়া (৩২), মো. জুয়েল মিয়া (২৫) ও মো.সুজন মিয়া (২৩)। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
গোয়ালনগর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রতিবন্ধী ছেলেটি স্পিডবোটে উঠা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে।’
নাসিরনগর থানার ওসি খায়রুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn