বৃহস্পতিবার - ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছেলেকে ঈদের জামা দেওয়া হলোনা বাবার!

ছেলেকে ঈদের জামা দেওয়া হলোনা বাবার!

 

মোংলায় ছেলেকে ঈদের জামা দিতে গিয়ে সাবেক শ্বশুর বাড়ি গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মো: মিরাজুল মৃধা (৩৫) নামে এক ব্যক্তি।

শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের চৌরিডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় মিরাজুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় নির্যাতিত মো: মিরাজুল মৃধা বাদী হয়ে সাবেক স্ত্রী, সালা ও শশুরের নাম উল্লেখ করে মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের চৌরিডাঙ্গা এলাকার মো: আলাম ফকিরের মেয়ে আছিয়ার সঙ্গে খুলনা সোনাডাঙ্গার বানিয়া খামারের শেরে বাংলা রোড এলাকার মো: হারুন মৃধার ছেলে মো: মিরাজুল মৃধার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে আট বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। এরপর থেকে দীর্ঘদিন পরকিয়ায় আসক্ত তার স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল।

পরকিয়ায় বাধা দিলে আনুমানিক ১বছর আগে ছেলেকে নিয়ে স্ত্রী আছিয়া তার বাবার বাড়িতে পালিয়ে যায় এবং সেখানে থেকেই মিরাজুলকে তালাক দিয়ে স্ত্রী আছিয়া অন্যাত্র বিবাহ করে। তার পর থেকেই ছেলের সাথে মিরাজুলকে দেখা বা কোন রকম যোগাযোগ করতে দেয়না স্ত্রীরসহ তার বাড়ির লোকজন। মিরাজুলকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দিয়ে আসছিলো তারা।

আজ শনিবার ঈদ উপলক্ষ্যে ছেলে মো: জুনায়েদ মৃধা কে দেওয়ার নতুন জামা কাপড় নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যায় মিরাজুল। কিন্তু মিরাজুলকে দেখা মাত্রই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার শশুরবাড়ির লোকজন। প্রতিবাদ কারায় মিরাজুলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে। মারধরে তার নাক ফেটে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিরাজুলের শ্বশুর মো: আলাম ফকির। তিনি বলেন, কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি, সব মিথ্যা।

এ বিষয়ে মোংলা থানার ওসি তদন্ত মানিক চন্দ্র রায় জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn