
ছায়া সঙ্গি
জাকিয়া সুলতানা শিল্পী
শান্ত নিরিবিলি ঘন-কালো
নির্জন, সুনশান-নিস্তব্ধ সন্ধ্যায়,
কিছুদূর যেতেই, চঞ্চলতার আবেশে
জিজ্ঞাসু অবয়বে চোখের পলকে,
সে কি চেম্বারে বসে না,তালা ঝুলানো
কোনদিন তো দেখা হলো না যাত্রাপথে।
বসে তো,এ-ই তো!গতকাল ও ছিল
ওহ্ আচ্ছা, আমার অনুপস্থিতিতে!
হয়তো, নয়তো -অন্য কোন কারণে
হবে নিশ্চিত, ভীষণ চুপচাপ সে
আমার প্রতি মোহ-আবেগ,
ছিটেফোঁটা ও যে অনুপস্থিত।
অন্যথায় হাঁটতে হাঁটতে থমকে
নিভৃতচারী হয়ে নিশ্চুপ পরিবেশে,
আনমনে এগিয়ে যাই সূর্যাস্তের পরে
দেখা হবে ক্ষীণ প্রত্যাশা হৃদয়ে চেপে,
অসাড় দেহকে অবসাদ বিলাপে সেধে
একাকী নিরবে নিভৃতে পথ চলে।
ছিমছাম গাঁ ছমছম পরিবেশে
দুরুদুরু হৃদয় কাঁপন ছড়িয়ে,
প্রতিধ্বনিত আওয়াজ সংগোপনে
ছায়া সঙ্গে মিলেমিশে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে,
ভীতি এড়িয়ে এগিয়ে যাবার ছলে
অবিচল অবিরাম দীর্ঘশ্বাসে।
হঠাৎ থমকে অনুভবে!
চিত্তে ব্যাকুলতা বাড়িয়ে,
সাথে চলার প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হয়ে
এক সাথে পথ চলার সাহস যুগিয়ে,
ছায়া মানব রুপে, ছায়া সঙ্গি হয়ে
নির্ভরতার আবেশ ছড়ায় ফুলের সৌরভে,
হেলে-দুলে পথ চলাতে,ছুঁয়ে যায় পরম যত্নে
আলতো ভালোবেসে,বৃষ্টি ধোঁয়া স্রোতধারায়,
সফর ও ছায়া সঙ্গি, একা একা কথা বলার
সারাবেলা অবিরাম ভাটা আর জোয়ারে।