
রাজধানী ঢাকায় ছাত্রসমাবেশে অংশ নিতে রেলওয়ের কাছে ৩৭টি ট্রেনের বগি চেয়েছে ছাত্রলীগের চট্টগ্রামের বিভিন্ন শাখা। এসব কোচে করে চট্টগ্রাম থেকে নেতা-কর্মীদের ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী বগি বরাদ্দ দিতে পারছে না রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল।
ছাত্রলীগের চাহিদার ৩৭টি বগির বিপরীতে ১৬টি বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। বগিগুলোর জন্য নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করতে হবে ছাত্রলীগকে। ছাত্রলীগের নেতারা জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রসমাবেশে চট্টগ্রাম থেকে ছয় হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেবেন।
আগামীকাল১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রসমাবেশ করবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন। এই সমাবেশে সারা দেশ থেকে বিপুল জমায়েত করার প্রস্তুতি নিয়েছে সংগঠনটি।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবারের আন্তনগর তূর্ণা এক্সপ্রেস ও মেইল এক্সপ্রেস এবং ১ সেপ্টেম্বরের সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে বগি বরাদ্দ চেয়েছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম নগর শাখা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখা ট্রেনের বগির জন্য আবেদন করেছে। এ ছাড়া কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও উপজেলা শাখা থেকেও আসনের জন্য আবেদন করা হয়।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শুক্রবার ঢাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশ রয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইউনিটের পক্ষ থেকে তিনটি ট্রেনে ৩৭টি বগি বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছিল। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী বগি নেই। এখন ১৬টি বগি বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন করে বগি সংযোজন করা হবে। কেননা ট্রেনের যেসব নির্ধারিত বগি রয়েছে, তার টিকিট আগেই বিক্রি হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের জন্য শুক্রবারের সুবর্ণ এক্সপ্রেসে ৪টি এবং বৃহস্পতিবারের তূর্ণা এক্সপ্রেসে ৬টি ও ঢাকা মেইলে ৬টি বগি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক দাবি করেন, তাঁরা ১০টি বগি চেয়েছিলেন। কিন্তু একটিও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি, যা দুঃখজনক। তবে সমাবেশে অংশ নেবেন। বাসে করে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।