সোমবার - ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১১ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

চেক প্রতারণার দায়ে আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

চেক প্রতারণার দায়ে আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

 

অভিনব প্রতারণা, জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ এবং চেক দিয়ে প্রতারণার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

গোপালগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবু চৌধুরী বাদীর নিকট হইতে ৭৭,৮০,০০০/-(সাতাত্তর লক্ষ আশি হাজার) টাকা নিয়েছিলেন। সেই মতে আসামী বাদীকে টাকা ফেরত দিতে কাল ক্ষেপণ করে আসছিলেন। অবশেষে বাদীকে নগদ টাকা প্রদান না করে আসামীর নিজ নামীয় ডাচ্ বাংলা ব্যাংক পল্লবী মিরপুর, ঢাকা শাখার হিসাব নম্বর ২১১১৫১১৬৯৯৩৮ চেক নং ০৩৪৩৩৭০। চেকে ৭৭,৮০,০০০ (সাতাত্তর লক্ষ আশি হাজার) টাকা গত ২০২৩ সালের ০৭ সেপ্টেম্বর আবু চৌধুরী তাহার নিজ নাম স্বাক্ষর করে এবং চেকে উল্লেখিত টাকার পরিমাণ লিখে বাদী বরাবর চেকটি প্রদান করেন।

বাদী টাকা উত্তোলনের জন্য আসামীর দেওয়া চেকটি একই তারিখে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড গোপালগঞ্জ সদর শাখায় নগদায়নের জন্য জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অপর্যাপ্ত তহবিলের কারনে চেকটি ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ডিজঅনার করে ফেরৎ প্রদান করেন।

বাদী তার নিয়োজিত আইনজীবির মাধ্যমে গত ইং ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তী স্বীকার পত্রসহ রেজিস্ট্রী ডাকযোগে আসামী বরাবর লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন এবং উক্ত লিগ্যাল নোটিশ আসামীর দেওয়া চেকে আসামীর হিসাব নম্বরে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অপর্যাপ্ত তহবিলের কারনে চেকটি ডিজঅনার করে বাদীকে ফেরৎ দিয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন এবং উক্ত লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির পর ০১ (এক) মাসের মধ্যে বাদীর পাওনা সমূদয় টাকা বাদীকে পরিশোধ করিতে অনুরোধ করেন।

কিন্তু আসামী বাদীর পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী তার আইনজীবির মাধ্যমে আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারীর আবেদন করেন এবং চেক প্রতারণার অভিযোগে গোপালগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী কবির হোসেন মোল্লা জানান, আবু চৌধুরীর সাথে তার দীর্ঘ দিনের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আবু চৌধুরীকে তিনি ৭৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দেন । সময় মতো টাকা ফেরত না দিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ এর পায়তারা করে আসছিলেন। পরবর্তীতে সে টাকা ফেরত দেবে মর্মে পাওনা টাকার বিপরীতে চেক ইস্যু করেন। চেক ইস্যু করার পর নগদায়নের জন্য জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অপর্যাপ্ত তহবিলের কারনে ডিজঅনার করিয়া ফেরৎ প্রদান করেন। আপোষে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আমি গোপালগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা নং ১৬৬৩-২৩। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

তিনি আরও জানান, আমি অমার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে আদালতের স্বরণাপন্ন হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ ন্যায় বিচারের মাধ্যমে আমার টাকা ফেরত পাবো।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn