রবিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

চিলমারীতে হিন্দু ধর্মালম্বীদের অষ্টমীর স্নান অনুষ্ঠিত 

চিলমারীতে হিন্দু ধর্মালম্বীদের অষ্টমীর স্নান অনুষ্ঠিত

 

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে  হিন্দু ধর্মালম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ‌নিবার (০৫ এপ্রিল) উপজেলার রমনা ইউনিয়নের, রমনাঘাট নৌ-বন্দর থেকে জোড়গাছ পুরাতন বাজার পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অষ্টমীর স্নানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছরে চৈত্রের শুক্ল পক্ষের অষ্টম তিথিতে, চিলমারীর ব্রক্ষপুত্র নদের তীরে অনেক দিন থেকে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শচীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, শনিবার ভোর ৪টা থেকে সন্ধ‌্যা ৬টা পর্যন্ত অষ্টমীর প্রহর থাকলে ও স্নান করার উত্তম সময় ধরা হয়েছে। শনিবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত। তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর দেশের বি‌ভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার পুণ‌্যার্থীরা এখানে আসেন, তাদের পাপ মোচন করার জন্য। এ বছরে ও প্রায় ২/৩ লাখ পুণ‌্যার্থীর সমাগম ঘটেছিল বলে জানান তিনি । এই স্নানকে ঘিরে উপজেলার জোড়গাছ, গুড়াতিপাড়া, টোলোর মোড়, বাঁধের মোড়, জোড়গাছ পুরাতন বাজার, জোড়গাছ নতুন বাজারসহ সড়কপথে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অটো ও মোটরসাইকেল এবং নদীপথে ট্রলার ও নৌকা দিয়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে পুণ্যার্থীরা সমবেত হয়েছিলেন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। স্নান করতে আসা স্বপন চন্দ্র, বিধান চন্দ্র, কার্তিক চন্দ্র ও সুকুমার চন্দ্র বলেন, আমরা গত বছরেও আসছিলাম এবারেও অষ্টমির স্নান করতে এসেছি। এবার শান্তিপূর্ণভাবে স্নান করলাম বলে জানান তারা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক বলেন, অষ্টমীর স্নানকে ঘিরে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থপন করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর পাশাপা‌শি, সেনা বাহিনী, র‌্যাব বাহিনী, আনসার বাহিনী ও ভিডিপির বাহিনীসহ সাদা পোশাকে ডিএসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, সিআইডির সদস্যরাও ছিলেন। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান গুলোতে পুলিশ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছিল। এ ছাড়া ও বিশুদ্ধ পানীর জন্য নলকূপ স্থাপন, স্নান শেষে কাপর বদলানোর জন্য শতাধিক তাঁবু ছিল বলে জানান তি‌নি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn