উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়েছেন, যায় কারণে নদের তীর উপচে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সমতল এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছেন। তবে সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্রের পানি স্থিতিশীল রয়েছে বলে খবর যাওয়া গেছে। এদিকে নিম্ন এলাকার প্রায় ১হাজার ৬৪০ পরিবার পানিবন্দী হয়েছেন বলে জানা গেছে। ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন ২০টি পরিবার। আজ শনিবার (১৫জুলাই) সকাল ৯টার তথ্য মতে, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী স্টেশনে ৬ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৪ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন, গ্যাজরিডার মোঃ জোবাইর হোসেন। তবে পানি কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছেন বলে জানিয়েন। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পায়নি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের রবাদ্দ দিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, কয়েকদিনের পানি বাড়ার কারণে উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে ১শ ৫০, নয়ারহাট ৬৬৯, রমনা ৩১০, রানীগঞ্জ ৫১০ পরিবার পানি বন্দি হয়েছেন এবং অষ্টমীরচরে ভাঙনের শিকার হয়েছে ২০টি পরিবার। তিনি আরো বলেন, আজকের পানিবন্দী মানুষের সকল তথ্য চেয়ারম্যানদের নিকট চাওয়া হয়েছে। বিকলের মধ্যে পাওয়া যাবে। চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে পানিবন্দি মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ শুরু করা হয়েছে। পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী ২৪ঘন্টার পূর্বাভাস অনুযায়ী নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই কারণে বন্যার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নতি হতে পারে বলে জানান তিনি।