
চাটখিলে প্রবাসীর উপর হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর, দোকানপাট দখলের অভিযোগ
চাটখিল উপজেলার ০১ নং শাহাপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের ভুইয়া বাড়ির প্রবাসী মো. ইয়াছিনের উপর হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর, দোকানপাট দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একই বাড়ির ভূমিগ্রাসী আনিছুর রহমান ওরফে আনিস মেম্বার গংদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর থেকে প্রবাসী ইয়াছিন ও তার পরিবার প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। নিরুপায় হয়ে বুধবার বিকেলে নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী মো. ইয়াসিনের দাদা মৃত শরফত আলী চৌকিদারের যাবতীয় সম্পত্তি বিগত ১১/০৮/২০১০ ইং সালে নিজ এলাকার চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে সমঝোতার মাধ্যমে তার বাবা-চাচাদের মধ্যে আপোষ বন্টক হয়। বন্টক অনুযায়ী তার বাবা ফয়েজ আহমেদ ওয়ারিশ সূত্রে ১০৮.৩৪ শতাংশ ভূমির মালিক হয় এবং তা পরবর্তীতে তারা ০৪ ভাই ও ০২ বোন ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু তার দাদার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরের সন্তান আনিসুর রহমান ওরফে আনিস মেম্বার ও রুহুল আমিন তিতা (সৎ চাচা) উক্ত বন্টক অস্বীকার করে ২০২০ সালে তাদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে। বাধা দেয়ায় তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আহত করে। এ বিষয়ে বিচার চাইতে গেলে উল্টো থানা পুলিশের সহযোগিতায় ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়।
৫ই আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ার পর গত ৩০ ডিসেম্বর ইয়াছিন পুনরায় দেশে আসলে গত ১৮ জানুয়ারি বিকেলে তাদের পারিবারিক কবরস্থানের সামনে তার সৎ চাচা আনিস মেম্বারের সাথে জমিতে হাল দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্য তার গলা টিপে ধরে। প্রাণ রক্ষার্থে সে তার হাত ঝাপটিয়ে ফেলে কোনরকমে প্রাণ বাচিঁয়ে ছুটে আসে। ঘটনার পরপরই আনিস মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ তাকে খুঁজতে থাকে। খুঁজে না পেয়ে তার ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং বাড়ির সামনের দোকানঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনার পরপরই ইয়াছিন ও তার পরিবার প্রাণভয়ে আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসাবে তাকে আইনি সহযোগিতা করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সাহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে আনিস আহমেদ বলেন, এসব অভিযোগ সঠিক নয়। এলাকাবাদী জানে।