শুক্রবার - ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৮ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

চসিক মেয়র সিডিএ চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে আমলে না নিলেও, সমন্বয় সভায় আসেনি সিডিএ চেয়ারম্যান

চারদিন আগে নগরের জলাবদ্ধতা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ‘চসিক অযোগ্য’ বলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যানের দেওয়া বক্তব্যকে ‘স্লিপ অব টাং’ বলে পক্ষ নিয়ে বিতর্ক থামিয়ে দিলেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল ১৪ আগস্ট সোমবার টাইগারপাসের চসিকের সম্মেলন কক্ষে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ক আন্তঃদপ্তর সমন্বয় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চসিক মেয়র এ কথা বলেন। গত কয়েকদিনের ‘পাল্টাপাল্টি’ অবস্থানের পর সমন্বয় করতে এ সভার আয়োজন করে চসিক।
তিনি আগে গত ৯ আগস্ট সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) অযোগ্য বলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) কাজ দিয়েছে বলে দাবি করেন সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ। সিডিএ চেয়ারম্যানের এ মন্তব্যের পরে চারিদিকে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝর উঠে।
সভায় চসিক মেয়র বলেন, ‘অনেক সময় কথা বলতে গেলে অনেকে হয়তো ‘স্লিপ অব টাং’ করে অনেক কথা বলে ফেলে। বক্তৃতা দিতে গেলে অনেক ভাষা চলে আসে। হয়তো সিডিএ চেয়ারম্যান কথার ছলে বলে ফেলেছেন। এটাকে দৃঢ়ভাবে না ধরে সহজভাবে ধরে নিতে পারি। প্রত্যেকটা সংস্থার সক্ষমতা আছে। কোনো সংস্থার সক্ষমতা নেই, এই কথা বলাটা ঠিক না। তিনি হয়তো বলে ফেলেছেন, এটাকে নিয়ে টানাহেচড়া না করি। আমাদের সব সংস্থার যেসমস্ত ত্রুটি আছে, সেগুলোকে চিহ্নিত করে সবাই সমন্বিতভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবো।’
সিডিএ চেয়ারম্যানের এ বক্তব্য নিয়ে মেয়রের নমনীয় বক্তব্য চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ বিভিন্নভাবে দেখছেন।এটাকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে দেখছেন। অনেকে মেয়রের উদারতা বা  নমনীয় বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, চসিকের ডাকা এ সভায়ও উপস্থিত   না চসিককে অযোগ্য বলা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ। সভায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নগরবাসীর জলাবদ্ধতা বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর মোবারক আলী, শৈবাল দাশ সুমন, আবদুল মান্নান এবং মো. এসরারুল হক।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মু. আনোয়ার পাশা, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসেন খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব মো. মিনহাজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু রায়হান দোলন, পুলিশের এডিশনাল কমিশনার এমএ মাসুদ, সিডিএর ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ আলী, চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, কর্ণফুলী সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক রাজীব দাশ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn