চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একটি আবাসিক (ছাত্রী) হলে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক ছাত্রীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলে ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ( শনিবার ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ( ২০১৯-২০ ) শিক্ষাবর্ষের একজন ছাত্রী।
ক্যাম্পাস থেকে জানা যায়, ঘটনার খবর শোনে তার কক্ষে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কীভাবে এবং কারা উদ্ধার করল এ বিষয়ে কারও থেকেই সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, ওই ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। তার লাশ সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য চমেকের লাশঘরে রাখা হয়েছে।
শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রকিবা নবীর থেকে জানা যায়, ” হলে সিলিং ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। জানালার গ্রিলের সঙ্গে সে কিছু একটা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানতে পেরেছি। ওর স্বামীকে খবর দেওয়া হলে তিনি তাঁকে উদ্ধার করেন। ওরা কিছুদিন আগেই বিয়ে করেছে, অনেকেই জানেন না সেটা।
আত্মহত্যাচেষ্টার কারণের বিষয়ে তিনি তার বন্ধু-বান্ধবদের বরাত দিয়ে বলেন, ” অসুস্থতার কারণে শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা ভালো করে দিতে পারে নাই সে। দু’একটা পরীক্ষা দিতেই পারে নিয়ে সে। এসব নিয়ে সে ডিপ্রেশনে ছিলো এবং কী করবে না করবে এসব নিয়ে তার সহপাঠীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলো। তবে ঐ ছাত্রীকে হল থেকে কীভাবে উদ্ধার করা হলো এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য তাঁর কাছ থেকেও পাওয়া যায়নি, এমনকি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল কি না, তাও বলতে পারেন নিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানি না, জানতে পারলে আপনাদের জানাবো।