নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহৎ ও প্রাচীন ছাত্র ফোরাম হিসেবে পরিচিত সাতকানিয়া-লোহাগাড়া স্টুডেন্ট’স ফোরাম। সেই ফোরামের উদ্যোগে বর্ণিল আয়োজনে সম্পন্ন হলো ইফতার মাহফিল ও গুনীজন সংবর্ধনা।
সোমবার (১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বিকাল ৪টায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়। যেখানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে সম্মাননা গ্রহণ করেন চবির নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেণু কুমার দে।
এছাড়া মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।
অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন – চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সানাউল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী, ফলিত রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আয়শা আফরিন, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াকুব, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের প্রভাষক সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী।
ফোরামের সভাপতি কায়সার হামিদের সভাপতিত্বে আবু সাইদ জিসান ও সাজ্জাদ হোসাইন খোরশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জয়নুল আবেদীন ফাহিম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাঈদ সিহাম।
সম্মাননা গ্রহণ শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট এনভায়রনমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি দরকার। আপনারা দেখবেন ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি কারিগরি শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক, উচ্চ শিক্ষার কথা বলেছেন। কিন্তুু আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই দর্শন ধারণ করতে পারিনি। আমাদের দেশকে স্মার্ট ও স্বনির্ভর করতে হলে তিনটি ধারায় আমাদের শিক্ষণ পক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে হবে সমানতালে। এসময় উপাচার্য সাতকানিয়া-লোহাগাড়া স্টুডেন্টস ফোরামের শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তাদের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর বেণু কুমার দে বলেন, ‘সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জনপদের হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে পুরো বাংলাদেশকে আলোকিত করবে বলে আমি মনে করি। কারণ তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চারজন তাদের এলাকার উপাচার্য পেয়েছেন। এটি বিশাল পাওয়া। তিনি ছাত্র ফোরামের শিক্ষার্থী ও আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল কামনা করেন।’
মুখ্য আলোচক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন, অর্থাৎ বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার যে বাসনা তার জন্যে দরকার দক্ষ জনশক্তি। তোমরা যারা শিক্ষার্থী তোমাদেরকে চাকরির পেছনে না দৌঁড়ে নিজেরা একেকজন চাকরি সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্মার্ট স্টুডেন্ট, স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও স্মার্ট সিটিজেন হতে হলে আমাদের সৎ, আন্তরিক ও নিবেদিত হতে হবে।
উক্ত ইফতার ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া লোহাগাড়া স্টুডেন্ট’স ফোরামের সাবেক সভাপতি আবু তোরাব ও খোরশেদ আলী। উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রী শিমুল বিশ্বাস, জাহিদ হাসান সবুজ, জুলকার নাইন, রাশেদ সিকদার, মিজান শাইখ ও পার্থ প্রতিম বড়ুয়া ছাড়াও ফোরামের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও চবির কর্মকর্তা কমর্চারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার মাহমুদুল হক সিকদার, ফিজিক্স বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম, আরবি বিভাগের সিনিয়র লাইব্রেরিয়ান হাফেজ ফরিদুল আলম ও আলাওল হলের ঊর্ধ্বতন সহকারী সৈয়দ হোসেন।